এলডিসি দেশগুলোকে প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের

SHARE

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনাভিত্তিক উত্তরণ প্যাকেজের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৪ মে) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ কথা বলেন।

স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘প্রণোদনা দেওয়া না হলে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর নিচের ধাপে পিছলে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।’ অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলো দারিদ্র্য ও অসমতা, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈদেশিক ঋণ, অভিবাসন ও রেমিট্যান্স বিষয়ক যেসব বহুমুখী চ্যলেঞ্জ ও নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

উল্লেখ্য, এই প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভা যৌথভাবে আহ্বান করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে সম্মেলনটির আয়োজন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশ দুটির স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয়কে যৌথ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম সম্মেলন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম এলডিসি কনফারেন্সটি হবে জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ সম্মেলন। এই সম্মেলনে এলডিসি’র পরবর্তী কর্মসূচির জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক কম্প্যাক্ট গৃহীত হবে; যা দেশগুলোর আশু ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সম্মেলনটির কো-চেয়ার হিসেবে টেকসই উত্তরণ ও উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পদক্ষেপসহ বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের স্বীকৃতি দেয়।