কাঁদলেন, কাঁদালেন সুয়ারেজ

SHARE

প্রাণপ্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়তে চাননি। মেসির সঙ্গে এতটাই সুন্দর সম্পর্ক ছিল, ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে হবে শুনে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু ক্লাব যে তাকে চাইছিল না!

বয়স ৩৪ পেরিয়েছে। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে বার্সাকে নতুন করে সাজাতে হবে, ম্যানেজম্যান্টের চিন্তা ছিল তেমনই। সুয়ারেজকে তাই বলতে গেলে জোর করেই বিদায় করা হয় ন্যু ক্যাম্প থেকে।

কিন্তু রতন চিনতে ভুল করেনি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারকে এক ঝটকায় লুফে নেয় রজিব্লাঙ্কোসরা। বার্সেলোনার ‘বাতিল’ সুয়ারেজই অ্যাটলেটিকোতে এসে হয়ে যান দলের মূল অস্ত্র। যার কাঁধে ভর করে ৭ বছর পর লা লিগা চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি।

এর চেয়ে ভালো জবাব আর কি হতে পারে! ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনে এসে বার্সা ম্যানেজম্যান্টকে চোখে আঙুল দিয়ে ভুলটা ধরিয়ে দিলেন সুয়ারেজ। মৌসুমে ২১ গোল করলেন। এমনকি শেষ দিনে রোমাঞ্চকর শিরোপা লড়াইয়ে জয়সূচক গোলটিও এলো উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের পা থেকে।

ন্যু ক্যাম্পে ছয় বছরে ১৯৮ গোলের মালিককে ছেড়ে দেয়া যে কত বড় ভুল হয়েছে, সেটি নিশ্চয়ই এখন হারে হারে টের পাচ্ছে বার্সেলোনা। সুয়ারেজকে ছাড়ার পর এবার লিগে তৃতীয় হয়ে শেষ করেছে ক্লাবটি।

একদিকে শিরোপা জয়ের আনন্দ, অন্যদিকে অবজ্ঞার জবাব। ভাবতে গিয়ে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলেন না সুয়ারেজ। ভিডিও কলে পরিবারকে ফোন দিয়ে অঝোরে কাঁদলেন মাঠে বসেই। উরুগুইয়ান তারকার যে আবেগী মুহূর্ত কাঁদিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদেরও। আর কেবল আফসোসই বাড়িয়েছে বার্সেলোনার।

বার্সা থেকে বিদায় মেনে নিতে পারেননি, অ্যাটলেটিকোর শিরোপা জয়ের ক্ষণেও অস্বীকার করলেন না সুয়ারেজ। তিনি বলেন, ‘গত গ্রীষ্মে আমি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, খুব কঠিন ছিল। যেভাবে আমাকে অবজ্ঞা করা হয়েছিল।অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আমার জন্য দরজা খুলে দেয়, আমি দেখিয়েছি আমি কেমন খেলোয়াড়।’