‘আকাশছোঁয়া’ দামে বিক্রি হচ্ছে জেমস বন্ডের স্টুডিও

SHARE

‘জেমস বন্ড’ সিরিজ-সহ অসংখ্য ব্লকবাস্টার সিনেমার জন্য পরিচিত স্টুডিও মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার বা এমজিএম কিনে নিচ্ছে আমাজন। সোমবার হলিউডে ঝড় ‍তুলেছে এমন একটি খবর।

দ্য র‌্যাপ এক প্রতিবেদনে জানায়, এই ঐতিহাসিক স্থানান্তরের মূল্য হতে পারে ৭ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

যদি খবরটি সত্য হয়, তবে হলিউডের সবচেয়ে বড় বেচা-কেনার অংশ নিচ্ছে ই-কমার্স থেকে কনটেন্টের বাজারে পা রাখা প্রতিষ্ঠানটি।

তবে পুরো বিষয়টিকে ‘গুজব ও অনুমান’ উল্লেখ করে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এমজিএম ও আমাজন।

শোনা যাচ্ছে, এ চুক্তির বলে শুধু সিনেমা ও টিভি লাইব্রেরিই নয়, এমজিএমের প্রিমিয়াম ক্যাবল নেটওয়ার্ক ইপিক্স চলে আসবে আমাজনের হাতে। যদিও বছরের শুরুর দিকে নতুন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম প্যারামাউন্ট প্লাসের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইপিক্স।

২০১৯ সালে স্থানীয় বাজারে এমজিএম আয় করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এরপর করোনার কারণে নতুন কোনো ছবি মুক্তি দেয়নি স্টুডিওটি। এর মধ্যে একাধিকবার পিছিয়ে গেছে জেমস বন্ড সিরিজের ২৫তম ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’। ধারণা করা হচ্ছে, এ ছবি ব্যবসার নিরিখে নতুন রেকর্ড গড়তে পারে। ছবিটি অক্টোবরে রিলিজ হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির মিছিলে আছে ‘ক্রিড থ্রি’ ও ‘হাউস অব গুচি’র মতো আলোচিত ছবি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হলিউডে একাধিক প্রতিষ্ঠানের স্বত্ব স্থানান্তর হয়েছে। সর্বশেষ এটি অ্যান্ড টি’র সঙ্গে ডিসকোভারির একটি চুক্তি আলোচনায় ছিল। এরপর এলো আমাজন ও এমজিএমের এক হওয়ার খবর। এ ছাড়া ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় সংস্থার অংশ হয়ে ওঠা তেমন আর আলোচনায় আসে না।

হলিউডের অন্যতম পুরোনো স্টুডিও এমজিএম। তাদের বিস্তৃত লাইব্রেরিতে রয়েছে অনেক ক্ল্যাসিক সিনেমা ও টিভি শো। এর মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার সিনেমা ও ১৭ হাজার ঘণ্টার টিভি অনুষ্ঠান।

হলিউডের অন্যতম জায়ান্ট আমাজন ২০২০ সালে সিনেমা, টিভি শো ও গানের জন্য বিনিয়োগ করেছে ১১ বিলিয়ন ডলার।