দেশের ইতিহাস আর কেউ বিকৃত করতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার যে চেষ্টা হয়েছিল। তেমন কাজ এ দেশে আর কেউ করতে পারবে না। আর মুছতে পারবে না।

আজ সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, এটা স্বাধীনই থাকবে। জাতির পিতাকে হত্যার পর তখনকার সরকার অনেক বাধা দিয়েছিল যাতে আমি দেশে ফিরতে না পারি। কিন্তু সব ঝড়-ঝাপটা অতিক্রম করেই দেশে ফিরেছি এবং আজকের এ অবস্থানে আসতে পেরেছি। এটাই সব থেকে বড় কথা।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের যে উল্টোযাত্রা শুরু হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছিল, পুরো পরিবর্তন। এখন একটা আত্মবিশ্বাস এসে গেছে যে বাংলাদেশের ইতিহাস আর কেউ কোনো দিন বিকৃত করতে পারবে না। আর মুছতে পারবে না।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের যেদিন হত্যা করা হয়, সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা।

বিদেশে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। তার আগেই ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

শেখ হাসিনা ভারতের নয়া দিল্লি থেকে দেশে ফিরলে প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সেদিন তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাখো জনতা তাকে স্বাগত জানায়।

সেদিনের কথা স্মরণ করে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী, যিনি গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, যাই হোক, এইটুকু বলতে পারি যে আল্লাহ সব সময় সহযোগিতা করেন এবং আল্লাহ কিছু কাজ দেন মানুষকে। সেই কাজটা যতক্ষণ শেষ না হয়, ততক্ষণ কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেন।