চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ছে

SHARE

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ মেয়াদ ১৭ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত আরেক দফা সাতদিন বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সংক্রান্ত ফাইলে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আগের শর্তগুলোই বহাল থাকবে। আগামীকাল (রোববার) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। সেটি আগামীকাল শেষ হচ্ছে। নতুন করে আরও সাত দিন বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, যার মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত হতে যাচ্ছে।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারঘোষিত বিধিনিষেধে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে গত ৫ মে থেকে। এছাড়াও বন্ধ রাখা হয়, মার্কেট-শপিংমল ও বিনোদনকেন্দ্র। পরে ঈদকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় গণপরিবহন চালু করা হয়। খুলে দেওয়া হয় মার্কেট-শপিংমল। বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদে ঢাকা ছেড়ে গেছেন লাখ লাখ মানুষ।

এদিকে, দ্বিতীয়বারের মতো গতকাল শুক্রবার দেশে করোনার ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ভারতীয় ধরনের কারণে উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ মে (রোববার) মধ্যরাতে।

এখন তিনদিনের ছুটি চলছে। ছুটি শেষে রোববারই (১৫ মে) খুলছে অফিস। ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি অনেকেই।

ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করে মানুষ। জেলার মধ্যে চলাচল করা বাসের মাধ্যমে মানুষ চলে যায় ফেরিঘাটগুলোতে কিংবা জেলার প্রান্তে। ফেরি পার হয়ে কিংবা গাড়ি পাল্টে পৌঁছে গেছে গন্তব্যে।

এ বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা এর আগে বলেছিলেন, ‘আমাদের ধারণা হচ্ছে, এই পরিস্থিতির পর চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণটা আবার বাড়তে পারে।’

এই প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞ কমিটি লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করে। সেই অনুযায়ী আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন।