ক্রমশ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত

SHARE

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ক্রমশ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। বুধবার রাতভর দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত ছিলো। সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬৭ ফিলিস্তিনি ও ৭ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। কারফিউ জারির পরও ইসরায়েলের কিছু এলাকায় ইহুদি ও আরব বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দাঙ্গা থামাতে আটক করা হয়েছে ৩৭৪ জনকে।

গাজা উপত্যকা যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোন দেশ। গত কয়েক দিন ইসরায়েলের টানা রকেট হামলায় ধসে পড়েছে অনেক বহুতল ভবন। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া মানুষের আর্তনাদ আর স্বজনের আহাজারিতে ভারি এখন গাজার বাতাস।

হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলেও পাল্টা রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। রাতে গাজা উপত্যকা থেকে ছোড়া রকেট ইসরায়েলের পেতাহ তিকভা শহরের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে।

কারফিউ জারি করেও ইসরায়েলের বিভিন্ন আরব ও ইহুদি অধ্যুষিত এলাকায় সহিংসতা থামানো যায়নি। পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

সহিংসতার জন্য আরব নাগরিকদের দায়ী করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘আরব দাঙ্গাকারীরা সিনাগগে হামলা চালাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এসব কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না।’

এর আগে, বুধবার (১২ মে) টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘জেরুজালেম ফিলিস্তিনের হৃদয়। কোন ভাবেই নিজেদের ভূখণ্ড ছাড়বে না ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে জেরুজালেম পুরোপুরি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে বলবো, আমরা বিরক্ত আপনারা চলে যান। আমরা আমাদের ভূখন্ড ছাড়বো না।’

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন তিনি। খুব শিগগিরই এই সংঘাতের অবসান হবে বলে আশা করেন তিনি।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি রকেট হামলার মধ্যেই ঈদ উদযাপন করছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের বাইরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।