করোনা: চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দ. আফ্রিকার ধরন শনাক্ত

SHARE

logo
মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১, ২১ বৈশাখ ১৪২৭
Search
আর্কাইভবাংলা কনভার্টারবেটা ভার্সন
প্রচ্ছদজাতীয়রাজনীতিআন্তর্জাতিকখেলাধুলাবিনোদনসারাদেশঅর্থ ও বাণিজ্যআইন ও অপরাধশিক্ষাঙ্গনমুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনজবসদিনের কথাপ্রযুক্তি ও গবেষণাসাক্ষাৎকারমুক্ত মতামতলাইফ স্টাইলপ্রবাস-পরবাসসাহিত্য ও সংস্কৃতিস্বাস্থ্যসেবামিডিয়া লিংকআবহাওয়াভিডিওবাংলাদেশসুভাষ সিংহ রায়ের কলাম
আজকের শিরোনাম :
ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়াল মামুনুল হককে আরও ১৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ করোনা: চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দ. আফ্রিকার ধরন শনাক্ত রাতারাতি টিকার উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব না : সেরাম সিইও শিবচর ট্র্যাজেডি: স্পিডবোট মালিক-চালকসহ চারজনের নামে মামলা মুজিবনগরে মাইক্রোবাস উল্টে দম্পতি নিহত জুনে ঘর পাচ্ছে আরো ৫৩ হাজার ৫০০ গৃহহীন পরিবার মিয়ানমারে সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে বিদ্রোহীরা মা-বাবাসহ ২ বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি গেল ছোট্ট মীম করোনায় বিশ্বে আরো ১০ হাজার প্রাণহানি

প্রচ্ছদ
সারাদেশ
করোনা: চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দ. আফ্রিকার ধরন শনাক্ত
করোনা: চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দ. আফ্রিকার ধরন শনাক্ত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২১, ০৯:২৪

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ধরনের আধিক্য পেয়েছেন গবেষকরা। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনেরও উপস্থিতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) একদল গবেষক। তবে ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়নি চট্টগ্রামের কোনো নমুনায়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স বা জীবন রহস্য উন্মোচন করতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসাআইআর), ঢাকায় ১০টি নমুনা পাঠানো হয়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুজন গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশ নেন।

সোমবার (৩ মে) সিভাসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গত ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১০ জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে জিনোম সিকোয়েন্স করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ১০টি নমুনার ৬টিতেই যুক্তরাজ্য ধরন (B.1.1.7) ও তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের (B.1.351) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর একটিতে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ধরন (B.1.1.142) পাওয়া গেছে। তবে কোনো নমুনাতেই ভারতীয় ধরন (B.1.617) এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগী থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
গবেষণাটি মূলত চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক করা হয়েছে। ১০টি নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত সম্ভবত যুক্তরাজ্যের ধরনের আধিক্য ছিল। যদিও একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনও ছিল।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্র অধিক পরিষ্কার হতো। এই ১০টি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য পাবলিক ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে সিভাসুর উদ্যোগে আটটি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়েছিল।