শেষ পর্যন্ত পতনে নাম লেখাল শেয়ারবাজার

SHARE

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩ মে) লেনদেনের শুরুতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত দুই বাজারই পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে দরপতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। মূলত শেষ ঘণ্টার লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা থেকে পতনে রূপ নেয় শেয়ারবাজার।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মধ্য দিয়ে। এতে প্রথম মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।

তবে শেষ ঘণ্টার লেনদেনে এসে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় চলে যাওয়ায় সূচকও নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।

ফলে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫১১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৯টির এবং ৭০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন কমেছে ২৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের ৬৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৩ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ম্যাকসন স্পিনিং, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স এবং নিটল ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টির এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।