ইউনাইটেডে আগুন : ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

SHARE

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আগুনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে আপাতত ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব ও সাহিদা সুলতানা শিলা।

পরে ব্যারিস্টার অনীক আর হক জানান, আপিল বিভাগ অন্তর্র্বতীকালীনভাবে চার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ২৫ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগামী এক মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে এই এক কোটি টাকা চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণ নয়। হাইকোর্টে মামলাটির রুল শুনানি পেন্ডিং রয়েছে। সেখানে চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ২৭ মে রাতে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাট ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন চার জন পুরুষ এবং একজন নারী। পরে একই বছরের ৩০ মে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এসি বিস্ফোরণের আগুনে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব।

ওই রিটের শুনানির পর অগ্নিকাণ্ডে বিষয়ে পুলিশের আইজি, ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের কাছে পৃথক পৃথক রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে আদালতে দাখিল করা তিনটি প্রতিবেদনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার তথ্য উঠে আসে।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের চার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত মনিরুজ্জামানের পরিবার আদালতের বাইরে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করে নেওয়ায় সে বিষয়ে কোনও আদেশ দেননি হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সে আপিলের শুনানি নিয়ে আদালত এ মামলায় হাইকোর্টকে রুল জারির পাশাপাশি শুনানির নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশের ধারাবাহিকতায় মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রত্যেককে ১৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়।