করোনা তহবিলে দান করে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আবেদন আয়ুষ্মানের

SHARE

করোনা সঙ্কটের মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র সরকারের পাশে বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা এবং তাহিরা কাশ্যপ। বলিউডের এই তারকা দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী করোনা তহবিলে অনুদান দিয়েছেন। পাশাপাশি এই সঙ্কটে অন্যদের এগিয়ে আসতে আবেদন জানিয়েছেন বলিউডের ‘কন্টেন্ট কিং’ আয়ুষ্মান খুরানা।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন আয়ুষ্মান। সেখানেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে অনুদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন তিবি। পাশাপাশি তিনি লেখেন, ‘এই কঠিন সময় আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে বিপদের একে ওপরের পাসে দাঁড়াতে হয়। গত এক বছর ধরে আমরা এই বেদনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের হৃদয়কে প্রতিদিন ক্ষতবিক্ষত করছে, কাঁদতে বাধ্য করছে।‘

যারা করোনা সঙ্কটে পাশে থাকতে সোশাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যে সক্রিয়। আয়ুষ্মান তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিকে, শুধু আয়ুষ্মান খুরানা নয়, গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন অপর এক তারকা অক্ষয় কুমার। এদের পাশাপাশি তাপসী পান্নু, সনু সুদ, আলিয়া ভাট ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনলাইন কোভিড যোদ্ধাদের আর্থিক সাহায্য করে চলেছেন। এমনটাই বলিউড সূত্রে খবর।

এদিকে, দেশজুড়ে চলছে গণটিকাকরণ। পয়লা মে থেকে এই তালিকায় ঢুকবে ১৮-৪৫ বছরের নাগরিকরা। কিন্তু শুধু টিকা নিলে চলবে না। মাস্ক পরা এবং দূরত্ব বজায় রাখাও সমান জরুরি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঠেকাতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমনই পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসক-গবেষকরা।

এ বার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর গবেষণায় আরও ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে, সঠিক সামাজিক দূরত্ববিধি না মানায়, একজন করোনা রোগীর থেকে এক মাসের মধ্যে ৪০৬ জন সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা। তাই করোনাকে ঠেকাতে জন্য সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় এবং লকডাউনের একমাত্র পন্থা। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু যে হারে বাড়ছে, তাতে বারবার সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সোমবার এনিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব অগরওয়াল। সেখানে তিনিই আইএমআর-এর গবেষণার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘৬ ফুট দূরত্ব থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বাড়িতে আইসোলেটেড থাকাকালীনও এমনটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর মাস্ক না পরলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ৯০ শতাংশ। এক জন সুস্থ মানুষ যদি মাস্ক পরেন, আর সংক্রমিত ব্যক্তি যদি মাস্ক না পরেন, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ৩০ শতাংশ। দু’জনেই মাস্ক পরলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা মাত্র ১.৫ শতাংশ।’

সেই বৈঠকেই নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ববিধি যদি ৫০ শতাংশও মেনে চলা হয়, করোনা রোগীর থেকে মাত্র ১৫ জন সংক্রমিত হতে পারেন। দূরত্ববিধি যদি ৭৫ শতাংশ মেনে চলা হয়, সে ক্ষেত্রে এক জন রোগীর থেকে মাত্র আড়াই জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই সকলকে অনুরোধ, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। বাড়িতেও মাস্ক পরুন। এই সময় কাউকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাবেন না। মনে রাখবেন করোনাকে হারানোর একটাই উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায়। মাস্ক পরা এবং পরিচ্ছন্ন থাকা। তাতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।’