আট কার্যদিবস পর কমল সূচক, লেনদেন ছাড়াল ১১ শ’ কোটি

SHARE

টানা আট কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে লেনদেন হওয়া প্রথম সাত কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়ে। কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর আগের দিনও সূচক বেড়েছিল।

শেয়ারবাজারে এই টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে সোমবারও লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। এতে ৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত স্থির হয়নি। শেষদিকের লেনদেনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় প্রধান মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে ডিএসই’র অপর দুই সূচক কিছুটা বেড়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর আগে বিধিনিষেধের প্রথম সাত কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান সূচকটি বাড়ে ২৩৭ পয়েন্ট।

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টির এবং ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনেদেন বেড়েছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের ৭২ কোটি ১৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৯ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জিবিবি পাওয়ার, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, ন্যাশনাল ফিড এবং রেনেটা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৪টির এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।