৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের আদেশ আজ

SHARE

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনের মূল চরিত্র জুলকারনাইন ওরফে সামিসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদনের বিষয়ে আদেশ আজ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সিএমএম আদালতে এই মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আইনজীবী আবদুল মালেক।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে যড়যন্ত্র করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

এতে সামি ছাড়াও নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল, ডক্টর কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান এবং আল-জাজিরা টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ও এডিটর ইন চিফ মোস্তেফা স্যোউয়াগকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, দেশের শান্তি নষ্ট করাসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন।

এদিকে, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে, এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ। তবে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে কোনো আদেশ আদালত দেয়নি।

আল জাজিরায় সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে সম্প্রচারিত হয়, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইসরায়েল থেকে গোয়েন্দা নজরদারিতে ব্যবহৃত উপকরণ কিনেছে বাংলাদেশ।

এর পর প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অপপ্রচার আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ সরকার। সাধারণত জনগণের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলোর বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সরকার, সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে হেয় করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে সেনাবাহিনী। তা ছাড়া দ্য বাংলাদেশ ডিফেন্স অ্যানালিস্ট জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যুদ্ধাবস্থায় শুধু সামরিক ব্যবহারের জন্য ফ্রান্স ও জার্মানির কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে যা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ব্যবহার হয় না।

বারবার বানোয়াট আর বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্প্রচার করে দেশে দেশে নিষিদ্ধের শিকার হয়েছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। বিদ্বেষমূলক সংবাদ পরিবেশন করে নিন্দা কুড়াচ্ছে এ গণমাধ্যমটি। এর আগে বিতর্কিত সংবাদ প্রচার করায় বাহরাইনে, ইরাকে, মিসরে, ভারতে ও ইসরায়েলে সংবাদ মাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়।