৪০৯ রানে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

SHARE

২২৩ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করার পর বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ছিল ক্যারিবীয়দের কোনোভাবেই ৩০০-এর বেশি করতে দেবে না। কিন্তু পরিকল্পনা যা ছিল, তা পুরোপুরি ভেস্তে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। ৩০০ তো দূরে থাক, ৪০০ পার হয়ে গেছে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়রা থেমেছে ৪০৯ রানে।

আজ শুক্রবার দিনের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম সেশনে অতিথিদের কেবল একটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। সেটি ছিল বোনারের। প্রথম দিন দাপট দেখানো এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের শুরুতে তাঁর প্রতিরোধ ভেঙেছেন মিরাজ। বোনার ফেরার পর থেকে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন ডি সিলভা ও আলজারি জোসেফ।

দিনের ১২তম ওভারে মিরাজের করা বল মোকাবিলা করতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বোনার। ৯০ রানে থামেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২০৯ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি বাউন্ডারি।

এর পর দ্বিতীয় সেশনের অর্ধেক পর্যন্ত লড়াই করেন জোসেফ ও ডি সিলভা। এই জুটিতেই তিনশ ছাড়ায় ক্যারিবীয়রা। দুজনে মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত দলীয় ৩৮৪ রানে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৯২ রান করা ডি সিলভাকে বোল্ড করেন তিনি।

সিলভার পর দ্রুত ফেরেন জোসেফও। ১০৮ বলে তিনি ৮২ রান করেন। এরপর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের উপর ভর করে ৪০৯ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সমান চারটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে নিয়েছেন মিরাজ ও সৌম্য সরকার।

প্রথম ইনিংসে চারশ ছাড়ানো ইনিংস পেয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম ইনিংসে এত রান করেনি কোনো সফরকারী দল।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ৯০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গতকাল টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের ২০ ওভার পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকে উইকেটে কিছুটা সহায়তা পেয়েছেন স্পিনাররা। নিয়মিতই টার্ন হয়েছে বেশ তবুও শুরুর দিকে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।

অবশেষে ২১তম ওভারে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল। ২০.৪তম ওভারে জন ক্যাম্পবেলকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। প্রথম সেশনে তাইজুল ছাড়া আর কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ।

তাইজুলের পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই উইকেট পেয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। শেন মোজলেকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন এই অভিজ্ঞ পেসার।

দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ফিরলেও উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েস্ট। দুই সতীর্থকে হারানোর পরও টিকে ছিলেন তিনি। ব্র্যাথওয়েটের ওই প্রতিরোধ ভাঙেন সৌম্য সরকার। নিজের প্রথম স্পেলে অতিথি দলটির ওপেনারকে আউট করেন। ১২২ বল খেলে চার বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করেন তিনি।

সৌম্যর পর ক্যারিবীয়দের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন রাহি। ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কাইল মায়ার্সকে। এরপর তৃতীয় সেশন পর্যন্ত লড়াই করেন বোনার ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডের পঞ্চম জুটি। দুজন মিলে গড়েন ৬২ রানের জুটি। প্রতিরোধ গড়া এই জুটি ভাঙেন তাইজুল।

ব্ল্যাকউড ফিরলেও উইকেটে জমে যান বোনার। ৯৮ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে সিলভার সঙ্গে জুটি বাধেন তিনি। সিলভাকে নিয়েই দিনের শেষ অংশ পার করেন বোনার।