অনেকের কাছ থেকে ভালোবাসার প্রস্তাব পেয়েছি: স্পর্শীয়া

SHARE

sporshiaছোট পর্দার জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী স্পর্শীয়া। তিনি ২০১১ সালে বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন। একই বছর ‘অরুণোদয়ের তরুণদল’ নাটকে রকস্টার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন। বর্তমানে তিনি ঈদের নাটকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাম্প্রতিক কাজ এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন স্পর্শীয়া।

এই মুহূর্তে…
ঈদের জন্য বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ করছি। এরই মধ্যে ‘উইপোকা’ এবং ‘সস্তার মধ্যে টেকসই’ নামের দুটি নাটকের কাজ শেষ করেছি। ‘উইপোকা’ নাটকটি থ্রিলার ধাঁচের। এখানে আমার সহ-অভিনেতা শ্যামল মওলা। অন্যদিকে ‘সস্তার মধ্যে টেকসই’ নাটকটি পুরোপুরি কমেডি ঘরানার। অনেক মজার একটি নাটক। আশা করছি, সবার ভালো লাগবে।

ধারাবাহিকে স্পর্শীয়া…
আমার অভিনীত দুটি ধারাবাহিক নাটক ‘ইচ্ছে ঘুড়ি’ এবং ‘আমাদের ছোট নদী’ এখন প্রচারিত হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে ‘উজান গাঙের নাইয়া’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। ১৬ পর্বের ধারাবাহিকটি বিটিভির জন্য নির্মিত হচ্ছে। এটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম।

শহরের মেয়ে হয়ে গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি কীভাবে নেন?
এখন পর্যন্ত একাধিক নাটকে গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। গ্রামে যাওয়ার সুযোগ খুব বেশি হয় না। বলতে পারেন, আমার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাটা বেশ প্রখর। গ্রাম থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। আমি তাঁদের বোঝার চেষ্টা করি। আর শুটিংয়ের জন্য গ্রামে গেলে আমি সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলি। এতে তাঁদের বুঝতে আমার অনেক সুবিধা হয়।

ড্রিমগার্ল স্পর্শীয়া…
মিডিয়াতে কাজ শুরুর পর থেকে অনেকেই আমাকে ‘ড্রিমগার্ল’ বলে ডাকছেন। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই আমি এ শব্দটির সঙ্গে অভ্যস্ত। তাই এখন তেমন কিছু মনে হয় না। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় অনেকের কাছ থেকে ভালোবাসার প্রস্তাব পেয়েছি।

প্রিয় সহশিল্পী…
সাবেরী আলম। আমি তাঁকে অনেক সম্মান করি এবং ভালোবাসি।

চলচ্চিত্রে স্পর্শীয়া…
আমি পড়ালেখা শেষ করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। এটা সময়ের ওপর নির্ভর করছে। সব ধরনের চলচ্চিত্রেই আমার কাজ করার আগ্রহ আছে। বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয়েও আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে চলচ্চিত্রের গল্প এবং চরিত্র আমার মনের মতো হলেই কেবল অভিনয় করতে রাজি হব।

স্পর্শীয়ার গোপন দুঃখ…
আমার নিজের তেমন কোনো দুঃখ নেই। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি। আমি সবকিছু পজিটিভভাবে দেখি। আমি জীবনের বাঁকা রাস্তাগুলো খুব সহজেই পার হতে পারি। তবে একটি বিষয় আমাকে অনেক কষ্ট দেয়। আমাদের মিডিয়ায় নতুনদের ঠিক সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। এমনকি শুরুর দিকে অনেকে ঠিকমতো পারিশ্রমিকও পায় না। তারা শুধু নিজের আগ্রহ থেকে কাজ করে যায়। আমাদের দেশের অনেক পরিচালকই প্রচণ্ড মেধাবী। কিন্তু নাটকের বাজেট কম থাকার কারণে তাঁদের ভালোভাবে কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়। এটা আমার একটা গোপন দুঃখ বলতে পারেন।