অচলাবস্থা কাটাতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি

SHARE

moyen khanবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, চলমান অচলাবস্থা নিরসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংলাপ আয়োজনে জাতিসংঘের যে কোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাবেন তারা।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দেওয়া সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দিনই টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে ইমেইলে পাঠানো সাক্ষাৎকারে  দলের এ অবস্থান জানালেন মঈন খান।

সংলাপ আয়োজনে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়ার কারণ ব্যাখায় মঈন খান বলেন,  বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাসহ প্রায় ১০ হাজার কর্মী মিথ্যা মামলায় আটক আছেন। সংলাপে বসার মতো গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেশে নাই।

বিএনপির প্রবীণ এই নেতা মনে করেন, ভূরাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং চীনের মধ্যে সেতুবন্ধন হওয়ায় এখানের কোনো সমস্যায় ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মতো এ অঞ্চলের প্রভাবশালী দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ রয়েছে।

‘বাংলাদেশের বর্তমান অচলাবস্থার দ্রুত সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

একমাত্র আলোচনায়ই সংকটের সমাধান আনতে পারে বলে মনে করেন মঈন খান।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে কোনো সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে আলোচনা। আলোচনা ব্যর্থ হলে পরবর্তী পদক্ষেপও হবে আলোচনাই, বলেন তিনি।

সহিংস আন্দোলনের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক আচরণ ও মূল্যবোধের অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে সৃষ্ট রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেরই ফল হচ্ছে এই সহিংসতা।

চলমান সহিংসতাকে ‘রোগ নয়, রোগের উপসর্গ’ বলে মন্তব্য করে এর সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করেন মঈন খান।

নাশকতার জন্য উল্টো সরকারের দিকে অভিযোগে আঙুল তুলে তিনি বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিস্ময়, সরকার এখনো কোনো একজন চিহ্নিত অপরাধীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি। তারা (অপরাধীরা) শাসক দলের সহায়তা পাচ্ছে।

আমাদের বদনামের জন্য নাশকতা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ’ নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেওয়ার পর প্রতিদিনই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ,পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে।

নাশকতার এসব ঘটনায় এরইমধ্যে আগুনে পুড়ে অর্ধ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।