প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়মুক্তি দিতে পারে না: বিএনপি

SHARE

bnp logoপ্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশ সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়মুক্তির গ্যারান্টি দিতে পারে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যারা আইন বহির্ভূত কর্মকা- পরিচালনা করবে এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- সংঘটিত করবে তার দায়ভার সম্পূর্ণ তাদের ওপরই বর্তাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টকারী অবৈধ সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে গদি রক্ষা করতে চায়।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে এক ব্যক্তির অভিব্যক্তি হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে আজ সব দেশপ্রেমিক জনগণ ঐক্যবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা লক্ষ্য করছি, চলমান গণআন্দোলনকে কলুষিত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশি রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে কিছু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে। তাদের মুখ দিয়ে বলানো হচ্ছে নাশকতার সঙ্গে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা জড়িত।

পরিকল্পিতভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত ও দলকানা কতিপয় গণমাধ্যমে তা দিনরাত ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ধরনের আওয়ামী চক্রান্তের বিষয়ে আমরা ইতোপূর্বে আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। আমরা আবারও অবৈধ সরকারের এ জাতীয় ঘৃন্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন বলেন, দেশের জনগণ এ ধরনের সরকারি চক্রান্ত ও অপপ্রচারে বিশ্বাস করে না। জনগণ দেখছেন, বিরোধী দলীয় আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্রসফায়ারে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আষাঢ়ে গল্প সাজাচ্ছে। সরকারি বাহিনী এসব নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কর্মকা-ের দায় এড়াতে পারবে না। সরকারি দলের দুর্বত্তরা পেট্রোল বোমা ও অন্যান্য অবৈধ অস্ত্রসস্ত্রসহ বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়লেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ কার্যালয়ের কাছে সরকারপন্থী কিছু সংগঠন হরতাল-অবরোধ বিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করছে। তারা দেশনেত্রীর নিরাপত্তা বিঘিœত করার অপচেষ্টা করছে।’

‘আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিঘিœত করার যেকোনো প্রচেষ্টা শাসকশ্রেণীর নিরাপত্তা বেষ্টনীকেই বরং দুর্বল করে তুলতে পারে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সুশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের সর্বস্তরের জনগণ আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। সংগ্রামী জনতার ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান গণআন্দোলন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।

বিবৃতিতে তিনি চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আহ্বান জানান।