কারাগারে নারীসঙ্গ : কাশিমপুরের জেল সুপার ও জেলার বরখাস্ত

SHARE

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ কারাবিধি লঙ্ঘন করে বন্দির সঙ্গে এক নারীর সাক্ষাতের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার ঘটনায় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।

এতে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

বরখাস্তরা হলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রতœা রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান বলেন, কিছু অভিযোগের কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাকিদের কী বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে- জানতে চাইলে শহিদুল্লাহ বলেন, ‘মন্ত্রণালয জেল সুপার ও জেলারকে বরখাস্ত করতে পারে, আর বাকিদের আইজি প্রিজন্সই করতে পারে।’

মহামারীর মধ্যে কারাবন্দিদের সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার সুযোগ না থাকলেও গত মাসের শুরুতে কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তুষারের সঙ্গে এক নারীর সাক্ষাতের ভিডিও প্রকাশিত হলে তা আলোচনার জন্ম দেয়।

এর পর জেল সুপার রতœা রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্তের পর কারাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার তদন্ত কমিটি সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত কমিটি ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে জেলা কারাগারে পদায়ন করা, কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করাসহ ২৫টি সুপারিশ করেছে।

হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার অন্যতম আসামি তুষার কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে।