দ্বিতীয় দিন শেষে চট্টগ্রাম টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ

SHARE

সাগরিকায় মেহেদি মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তুলে ফেলে ৪৩০ রান। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মুস্তাফিজের তোপে দুই উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। শেষ পর্যন্ত ওই দুই উইকেটে ৭৫ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এদিন বাংলাদেশের চেয়ে ৩৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

দ্বিতীয় দিনশেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দিনের তৃতীয় ওভারেই জোমেল ওয়ারিকানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন। ওয়ারিকেনকে কাট করতে গিয়ে আউট হন লিটন।

৬৭ বলে ৩৮ রান করেছেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। আর এর মধ্যে দিয়েই সমাপ্তি হয়েছে ৫৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটির। এরপর উইকেটে এসে সব আলো নিজের করে নিয়েছেন মিরাজ। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে চোখ ধাঁধানো এক স্কয়ার ড্রাইভে চার মেরে শুরু করেন তিনি।

এরপর জোমেল ওয়ারিকেন, কেমার রোচ আর রাকিম কর্নওয়ালকে দারুণভাবে সামাল দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৮ নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান। এর আগে সাকিব আল হাসান ১১০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।

তিনি আউট হয়েছেন রাকিম কর্নওয়ালের বলে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটেকে ক্যাচ প্র্যাক্টিস করিয়ে। তাঁর ইনিংসটি ছিল ১৫০ বলে ৬৮ রানের। সাকিব ফিরে গেলেও মিরাজকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে তিনি গড়েছেন ৪৪ রানের জুটি।

দীর্ঘ সময় ধরে ধীরগতির ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তাইজুল। ৭২ বলে ১৮ রান করেছেন বাঁঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর নাঈম হাসানকে নিয়ে ৫৭ রান যোগ করেন মিরাজ। নাঈমও ফিরে গেলে বন্ধু মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ১৩ চারে ১৬০ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক।

বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ১০৩ রান। আর তাতেই ৪৩০ রানের বড় পুঁজি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবীয়রা। তারা দলীয় ২৪ রানের মধ্যেই হারায় দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে।

অবশ্য বাকি সময়টা দেখে শুনে পাড়ি দিয়েছেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং এনক্রুমাহ বোনার। ব্র্যাথওয়েট হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছেন। বোনার অপরাজিত আছেন ১৭ রান করে। এই দুজনের জুটি অক্ষত আছে ৫১ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৩০/১০ (ওভার ১৫০.২) (সাকিব ৬৮, মিরাজ ১০৩, সাদমান ৫৯, ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৭৫/২ (ওভার ২৯) (ব্রাথওয়েট ৪৯*, বোনার ১৭*, মুস্তাফিজ ২/১৮)