মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

SHARE

মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছি। সেখানে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। যার যার ভুল সে নিজে দিতে পারে। এখন আর সেই ‘দশটা হোন্ডা বিশটা গুণ্ডা নির্বাচন ঠান্ডা’ সেই পদ্ধতি নেই। কিংবা ভোট দিতে গিয়ে দেখল ভোট বন্ধ সেটা করা হয় না। তবে মেয়র ইলেকশনেও আমাদের কিছু কিছু জায়গায় কমিশনারদের মধ্যে গোলমাল হয়েছে সেগুলো আলাদা।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সমাপ্তি ও প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি) এখন নেতৃত্বের অভাব। আমাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত, তারা যখন কোনো দলের নেতৃত্বে থাকে সেই দল জনগণের কাজ করবে কীভাবে? বিএনপির তো আজকে সেই দশা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতই বক্তব্য দেক, যত কথাই বলুক, এই ধরনের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতৃত্বে তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না। কাজেই সেই বিশ্বাস ও আস্থা যাদের নাই ধীরে ধীরে জনগণ এখন তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তারা আস্থা ও বিশ্বাস পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আস্থা বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলন আমরা দেখলাম আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে।

করোনাভাইরাস আরও একটু নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিশ্ব থেকে চলে না যাবে, ততদিন পর্যন্ত সবাইকে মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা করোনার ভ্যাকসিন নেবেন তাদেরও মাস্ক পরে চলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবে। করোনা ভ্যাকসিনের যখন গবেষণা শুরু হয়, তখনই আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলাম কারা কারা গবেষণা করছে আগে থেকে ঠিক করে রাখার। ভ্যাকসিন বাজারে এলেই আমরা কিনবো। এর জন্য আমরা এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাখি। যখনই বাজারে আসে তখনই ক্রয় করি।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। আসলে ভ্যাকসিন এসে নিজেই তার উত্তর দিয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা ক্রয় করেছি। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর খারাপ কোনো রিঅ্যাকশনের কথা শোনা যায়নি। তারপরও আমরা মনিটর করছি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। এ নিয়ে দেশে প্রশংসা শুনিনি। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথম কারা করোনা ভ্যাকসিন পাবেন সেটাও আমরা ঠিক করে ফেলেছি। করোনার ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন তাদের এখনও মাস্ক পরে থাকতে হবে, সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।