রাহুলকে সভাপতি করতে সর্বসম্মতিক্রমে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাব

SHARE

দলের তরফে মুখে যাই বলা হোক, ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস যে গান্ধী নির্ভরতা থেকে এখনই বেরতে পারবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল দলের দিল্লি প্রদেশ নেতৃত্ব। যার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে এত প্রশ্ন সেই রাহুল গান্ধীকেই ফের কংগ্রেস সভাপতি করার দাবিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করাল তারা। রবিবার দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে পাশ করানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীকে ফের দলের শীর্ষ পদে ফেরাতে হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনে আরও একাধিক রাজ্যে এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করানো হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ব্যর্থতার সব নৈতিক দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এরপর থেকে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। রাহুল আগে জানিয়েছিলেন, তিনি আর সভাপতি হতে চান না। তাঁর ইচ্ছা, গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সভাপতি পদে রাহুলের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেননা সাম্প্রতিক দলীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া, কিছুদিন আগে ওয়ানড়ের সাংসদ নিজেও বলেছে, দল চাইলে যে কোনও দায়িত্ব পালনে তিনি প্রস্তুত। সেই থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, আবারও সভাপতির পদে ফিরতে পারেন রাহুল গান্ধী।

যদিও কংগ্রেসের অন্দরেই তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। গত ২২ জানুয়ারি দলের কর্মসমিতির বৈঠকে সেই প্রশ্ন বেশ জোরালভাবেই উঠেছিল বলে সূত্রের খবর। গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, আনন্দ শর্মাদের মতো সিনিয়র নেতারা চাইছেন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে দলের সভাপতি নির্বাচন ক্রা হোক। সেই বৈঠকে শেষমেশ ঠিক হয়, মে মাসেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং জুনের মধ্যেই নতুন সভাপতি পাবে দল। প্রশ্ন হচ্ছে, দল যদি নির্বাচনের মাধ্যমের সভাপতি নির্বাচন করে, তাহলে রাহুলকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এই ধরনের চাপ কেন সৃষ্টি করা হচ্ছে? কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের অন্দরের গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কিছু নেতা চাইছেন, যেভাবেই হোক ফের সভাপতি পদে রাহুলকেই বসানো হোক। এদের নির্দেশ অনুযায়ীই দলের প্রদেশ নেতারা এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করাচ্ছেন। বস্তুত, ২০১৯ সালে রাহুল যখন পদত্যাগ করেন, তখন তাঁর পদত্যাগপত্র ফেরানোর দাবিতেও একইভাবে প্রস্তাব পেশ করেছিল একাধিক প্রদেশ ইউনিট। কিন্তু সেসময় নিজের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেননি রাহুল।