সড়ক-সেতুতে টোল নীতিমালা জুলাই থেকে কার্যকর করতে চায় সরকার

SHARE

road1সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিলের অর্থ জোগান দিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন সড়ক-সেতুতে টোল আদায়ের জন্য অনুমোদিত নীতিমালা জুলাই থেকে কার্যকর করতে চাচ্ছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

টোল নীতিমালা ২০১৪ গত ২৪ মার্চ মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদিত হয়। এ নীতিমালা কার্যকর হলে সওজের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য টোল দিতে হবে। অধিদপ্তর ধাপে ধাপে সড়ক ও মহাসড়ককে টোলের আওতায় আনবে। এ ছাড়া উড়াল সড়ক, নদী বা মাটির নিচ দিয়ে নির্মিত টানেল এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে (পিপিপি) নির্মিত সড়কেও চলাচলের জন্য যানবাহনভেদে টোল দিতে হবে সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। ১৩ শ্রেণির যানবাহন টোলের আওতায় আনা হবে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন সড়ক রয়েছে ২১ হাজার ৫৭১ কিলোমিটার। সেতু আছে চার হাজার ৫০৭টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৬১টি সেতু থেকে টোল বাবদ বছরে গড়ে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা আয় হয়। আর সড়ক সেক্টরে চট্টগ্রাম পোর্ট অ্যাকসেস রোড, হাটিকুমরুল-বনপাড়া এবং হবিগঞ্জের রুস্তমপুর থেকে জাফলং রোডে টোল আদায় করা হয়। এ ছাড়া ৫০টি ফেরিঘাটে টোল কার্যকর আছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যরে সব সেতু টোলের আওতামুক্ত থাকবে। ফেরির বদলে নতুন সেতু নির্মিত হলে দৈর্ঘ্য-নির্বিশেষে কমপক্ষে এক বছর পর্যন্ত টোল আদায় হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে টোল লেন চালুর জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম-টেকনাফ জাতীয় মহাসড়কের ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশ, ঢাকা-সিলেট-তামাবিল জাতীয় মহাসড়কের ঢাকা-সিলেট অংশ, ঢাকা-আরিচা-বগুড়া-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কের ঢাকা-আরিচা অংশ ও ঢাকা-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্বাচন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, টোলনীতি অনুসারে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সর্বোচ্চ হারে টোল আরোপ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ভিত্তি টোল ধরা হয়েছে ৪০০ টাকা। জাতীয় মহাসড়কে ভিত্তি টোল হবে ৩০০ টাকা, আঞ্চলিক মহাসড়কে ২০০ টাকা এবং জেলা সড়কে ১০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বিবেচিত হবে।

টোলনীতি অনুযায়ী, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যবহারে ট্রেইলারের টোল হবে এক হাজার টাকা, ভারী ট্রাক ৮০০, মাঝারি ট্রাক ৪০০, বড় বাস ৩৬০, ছোট ট্রাক ৩০০, মিনিবাস ২০০, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহন (ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার) ২৪০, মাইক্রোবাস ও পিকআপ ১৬০, ব্যক্তিগত গাড়ি ১০০, অটোরিকশা ৪০, মোটরসাইকেল ২০ এবং রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির জন্য ১০ টাকা।