অতিরিক্ত সময়ের গোলে শেষ ষোলোয় রোনালদোর জুভেন্টাস

SHARE

ঘরের মাঠে প্রথমে গোল হজম করে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব জুভেন্টাস। তবে দলের প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠেছেন তারকা খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পরে অতিরিক্ত সময়ে গোল করেছেন আলভারো মোরাতা। এ দুই গোলের সুবাদে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত হয়েছে জুভেন্টাসের।

মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটিতে জুভেন্টাসের প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল দল ফেরেঙ্কভারোস। তাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গোলবন্যায় ভাসবে জুভেন্টাস, এমনটাই ছিল সকলের প্রত্যাশা। অথচ ম্যাচ জেতা নিশ্চিত করতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯২ মিনিট পর্যন্ত। শেষ সময়ের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে তারা।

এমন নয় যে পুরো ম্যাচে খারাপ খেলেছে তুরিনের বুড়িরা। ম্যাচের দুই অর্ধেই আধিপত্য ছিল জুভেন্টাসের, দুই-তৃতীয়াংশ সময় বলের দখল ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে, অন্তত ১৯ বার তারা হানা দিয়েছে ফেরেঙ্কভারোসের রক্ষণে। কিন্তু মিলছিল না গোলের দেখা।

উল্টো খেলার ধারার বিপরীতে ১৯ মিনিটের সময় অতিথিদের এগিয়ে দেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মিরতো উজুনি। ডান দিক আসা বলে ভলির মাধ্যমে রিয়াল গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলবেনিয়ার এই খেলোয়াড়।

সমতায় ফেরার সুযোগ পেতে দেরি হয়নি জুভেন্টাসের। তবে কাজে লাগাতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। বাম পায়ের জোরালো শটে চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে নিজের প্রথম ও সবমিলিয়ে ১৩১তম গোলের মাধ্যমে জুভেন্টাসকে সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দলকে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ ছিল রোনালদোর সামনে। কিন্তু ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেলেও, সেটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি পর্তুগিজ সুপারস্টার। এর আগে ফেডরিখ বার্নারদেস্কোর শট গোলরক্ষকের আঙুল ছুঁয়ে ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ফলে সমতায় ফিরতে পারেনি জুভেন্টাস।

ম্যাচ যখন ১-১ গোলের সমতায় শেষ হওয়ার পথে, তখনই দলকে উদ্ধার করেন জুভেন্টাসের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতা। হরেক সুযোগ নষ্টের ভিড়ে হুয়ান কুয়াড্রাডোর ক্রসে হেডের মাধ্যমে জয়সূচক গোল করেন মোরাতা, স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।

এ জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউট নিশ্চিত হয়েছে জুভেন্টাসের। একই রাতে ডায়নামো কিয়েভকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট পাওয়া বার্সেলোনাও পেয়েছে শেষ ষোলোর টিকিট। গ্রুপের অন্য দুই দল ডায়নামো ও ফেরেঙ্কভারোস এখন লড়বে ইউরোপা লিগে জায়গা পাওয়ার লক্ষ্যে।