মহাকাশে নাসার ড্রাগন

SHARE

ফ্লোরিডার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে তিন মার্কিন এবং এক জাপানি মহাকাশচারীকে নিয়ে মহাকাশের স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে নাসার স্পেস এক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযান। সেখানে অন্য মহাকাশচারীদের সঙ্গে আগামী ছয় মাস কাজ করবেন এই চার মহাকাশচারী। এর পর স্পেস এক্স-এর মহাকাশযানে চড়েই তারা ফিরে আসবেন পৃথিবীতে।

সোমবার নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অরবিট ভেদ করে ড্রাগন মহাকাশে ঠিকভাবে পৌঁছেছে। সফল উৎক্ষেপণের পরে সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেন নাসা এবং অভিযাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও টুইটে লিখেছেন ‘গ্রেট’।

চারজন মহাকাশচারী মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্লোভার, শ্যানন ওয়াকার এবং সইচি নগুচি রবিবার গ্রিনিচ সময় রাত ১২টা ২৭ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে যাত্রা শুরু করেন।

উৎক্ষেপণের সময় ফ্লোরিডার স্পেস স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস। তিনি বলেছেন, এ দিনের ঘটনা আমেরিকার মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।

এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ফ্লোরিডায় নাসার গবেষণা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশে গিয়েছিল স্পেস এক্স-এর ড্রাগন। সেই মহাকাশযানেও মহাকাশচারী ছিলেন। তবে রোববার ফ্লোরিডা থেকে যে চারজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হয়েছে, তারা আগামী ছয় মাস মহাকাশের স্পেস স্টেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় অংশ নেবেন।

এতদিন মহাকাশের স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীদের আনা-নেওয়ার কাজ করতো রাশিয়ার সয়ুজ মহাকাশযান। স্পেস এক্স-এর ‘ড্রাগন’ বহুদিনের সেই নিয়মে খানিকটা পরিবর্তন এলো। বস্তুত, রাশিয়ার মহাকাশযানের চেয়েও এই মহাকাশযান আরও দ্রুত স্পেস স্টেশনে পৌঁছতে সক্ষম বলে জানিয়েছে নাসা।