সেনাবাহিনীর ৪টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান

SHARE

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান আজ সোমবার বগুড়াস্থ ১১ পদাতিক ডিভিশনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জিওসি, আর্টডক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি।

বগুড়া সেনানিবাসের শহীদ লেফটেন্যান্ট বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে জিওসি, আর্টডক উপস্থিত হলে ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার লেঃ কর্নেল মীর শাফকাত হোসাইন-এর নেতৃত্বে ১১ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং প্রধান অতিথিকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকান্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১০ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এবং ৪ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন আজকের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ হতে প্রধান অতিথির নিকট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।

জিওসি, আর্টডক রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ হতে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোনও ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোনও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

পরিশেষে জিওসি, আর্টডক রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।