রোহিঙ্গাদের এনআইডি নিবন্ধন রোধে কঠোর নির্দেশ

SHARE

রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৪ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ভার্চুয়াল মিটিং সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এর পক্ষ থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এনআইডি প্রস্তুত থেকে তৈরি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তর এবং সংস্থাকে সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বনের আহ্বান জানান মহাপরিচালক।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার এনআইডি জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ ফরম পূরণ ও দাদা-দাদির স্বাক্ষর, বিশেষ কমিটির নিকট উপস্থাপন, বিশেষ কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই, নিবন্ধন যোগ্য নাগরিকের তালিকা প্রস্তুতের পর রেজিস্ট্রেশন ও ডাটা আপলোড কার্যক্রম শেষে ভোটার তালিকার প্রস্তুতিকরণ করা হয় বলে জানান তিনি।

ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ ডিজি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এই মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক সাথে কাজ করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী স্বার্থের উপরে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির আবেদনের সাথে সংযুক্ত দলিলপত্র অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থার কর্তৃপক্ষ ব্যক্তির নিশ্চিত হয়ে জন্ম নাগরিক এবং শিক্ষাগত সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর দপ্তরগুলোকে খুবই সচেতন হতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে রোহিঙ্গারা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট,নাগরিক সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট কিছুই করতে পারবে না।