যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ১৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়

SHARE

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যয় সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যয় করবেন ৬.৬ বিলিয়ন ডলার। বাকি ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান দুই দলের কংগ্রেস নির্বাচনের সব প্রার্থী মিলে।

নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির ব্যয় করছে ৬.৬ বিলিয়ন এবং রিপাবলিকরা ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। বাকি ৩ মিলিয়নের বেশি ডলার ব্যয় হবে নির্বাচনের দিন। ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

গণমাধ্যম সিএববিসি এবং সিএনএস জানিয়েছে, অনুমান করা হয়েছিল এবারের ফেডারেল নির্বাচনের ব্যয় প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেটের মনোনয়নের লড়াইয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নানা জরিপ, সিনেট ও হাউস নির্বাচনের উত্তাপে এই ব্যাপকমাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনীতিতে অর্থ ব্যয়ের সন্ধান করে নিরপেক্ষ সংগঠন সেন্টার ফর রিসপন্টিক পলিটিক্স (সিআরপি) সম্প্রতি এই তথ্য দিয়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরপি জানিয়েছে, ডেমোক্রেট মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি এক বিলিয়ন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় ৯৫০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন তার সমর্থকগোষ্ঠী থেকে। এই অনুদান বাইডেন এবং ট্রাম্পের ব্যক্তিগত। দলের হিসেবে আলাদা।

বাইডেনের জন্য দশজন দাতাই শুধু দিয়েছেন ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। দাতাদের মধ্যে সুপার পিএসিএস গ্রুপ অন্যতম। ব্যক্তিগত শীর্ষ দাতাদের মধ্যে আছেন ক্যাসিনো ম্যাগনেট শেল্ডন অ্যাডেলসন এবং তার স্ত্রী মরিয়ম। কোটিপতি ব্যবসায়ী মাইক ব্লুমবার্গ এবং টম স্টিয়ার। এবং প্যান এম সিস্টেমসের চেয়ারম্যান টিম মেলন।

নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রহমান শফিক বলেন, ট্রাম্প নিজের ট্যাক্স ফাইল করেছেন মাত্র ৭৫০ ডলার। সেই ব্যক্তি নির্বাচনে সঠিক ব্যয় দেখাবেন এমনটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই ব্যয় গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তবে যাই হোক এবারের নির্বাচনে জয়-পরাজয় আগাম বলা বড় দুরূহ।