রিফাত হত্যা : অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা আদালতে

SHARE

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কড়া প্রহরার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্বজনদের সঙ্গে আদালতে হাজির হয়েছেন এ মামলায় জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আরও ৮ আসামি।

আদালতের অনুমতি নিয়ে আর কিছুক্ষণ পরেই আসামিদের জেলা শিশু আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে। এর পরই মামলার রায় পড়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

মামলার রায় শুনতে আদালতে রিফাতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও মামলার আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও আসামিদের স্বজনরাও হাজির হয়েছেন। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও উৎসুক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কারাগার থেকে আদালতে আসামিদের আনার সময় প্রিজনভ্যানটিকে মাঝখানে রেখে দুই পাশে ছিল র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি। এরপর সারিবদ্ধভাবে ৬ আসামিকে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাদের উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। চাঞ্চল্যকর এই রায়কে ঘিরে বরগুনা শহর ও আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর বাকি চার জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।