রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপের কাজ চলছে: ডিকসন

SHARE

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তন হতে আন্তর্জাতিক ভাবে আর কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তার কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও রনদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে অনুষ্ঠিত ৩৫০ বছরের ঐতিহ্য দুর্গোৎসব পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ নোবেল পুরুস্কার পাবার যোগ্য।

ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বৃহস্পতিবার তার দেশের সাথে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার সাথে বৈঠকের কথা তুলে ধরে বলেন, রোহিঙ্গাদের আর কিভাবে সাপোর্ট করা যায় ও দ্রুত প্রত্যাবর্তন বিষয়ের পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ডিকসন বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে চান। তবে তার আগে রোহিঙ্গাদের যে অত্যাচার করা হয়েছে তা মায়ানমারকে বন্ধ করতে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে মায়ানমারের সাথে আমরা এখন আন্তর্জাতিকভাবে বেশ শক্ত ভূমিকা পালন করছি। যতদ্রুত সম্ভব তারা নিজ দেশে ফিরতে পারে তা গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে কখনো দুর্গোৎসব না দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্গোৎসবের মতো এত সুন্দর কমিউনিটি উৎসবে যোগ দিতে পেরে তিনি খ্বুই আনন্দিত। গরীব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনমান উন্নয়নে কুমুদিনী ওয়েল ফেরার ফাউন্ডেশন ও ট্রাস্টের ভূমিকা অনবদ্য বলেও প্রশংসা করেন।

ব্রিটিশ হাই কমিশনার মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল ও কুমুদিনী নার্সিং হোম পরিদর্শণ করেন। পরে তিনি দানবীর রনদা প্রশাদ সাহার বাড়ির পূজা মন্ডব পরিদর্শণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর ইসলাম, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মো. জুবায়ের হোসেন, ওসি সায়েদুর রহমান, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর আ. হালিম, নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রানী ক্রুস, লিগ্যাল কলেজের হোস্টেল কর্নেরেটর ডা. শামসুন্নাহার।