স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান করে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স গঠন

SHARE

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিককে প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (জনস্বাস্থ্য) আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর এমএমসি অ্যান্ড এইচকে (ইপিআই) সদস্য সচিব করে ২৬ সদস্যের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-২ অধিশাখা উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে দেশের জনগোষ্ঠীকে সরবরাহ করতে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সংক্রান্ত তথ্য, ভ্যাকসিন প্রয়োগ সংক্রান্ত সরঞ্জাম, জনবল, কোল্ড চেইন ধারণক্ষমতা, প্রশিক্ষণ, পরিবহন ব্যবস্থা ও বাজেট ইত্যাদি বিষয়ে নীট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং সুষ্ঠুভাবে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ কমিটি গঠিত হয়।

২৬ সদস্যের টাস্কফোর্স কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব। অন্য সদস্যরা হলেন-

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম সচিব), অর্থ মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (যুগ্ম সচিব), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম সচিব), স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (সিডিসি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজি (জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ) অধ্যাপক ডা. সামির হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এপিআই এমএমসি অ্যান্ড এ এইচ (প্রোগ্রাম ম্যানেজার), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধির, ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ইউএস এআইডি বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ডিএফআইডি বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা-বাংলাদেশ প্রতিনিধি।

করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতিতে বলা হয়, এ কমিটি করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তির রোডম্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তার প্রস্তুত করবে। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে কৌশল ও নীতিমালা সংক্রান্ত সুপারিশ অনুসারে ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে উচ্চতর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে জনগোষ্ঠী নির্ধারণ করা। ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য সকল স্তরে আবশ্যকীয়ভাবে কোল্ড চেইন ধারণ ক্ষমতা মূল্যায়ন করা। ভ্যাকসিন প্রদানের সাথে জড়িত নিরাপত্তা মূলক কার্যক্রম মনিটর করা, ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফল করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করা, ভ্যাকসিন সেইফটি মনিটরিংয়ের জন্য মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করা,ভ্যাকসিন আমদানিও ফিল্ডে ডেভেলপমেন্টের জন্য রেগুলেটরি নিড চিহ্নিত করা এবং ভ্যাকসিনের জন্য মোট বাজেট এবং কী পরিমাণ ব্যক্তির প্রয়োজন হবে তার প্রাক্কলণ করা এবং কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপট করতে পারবে।