ধর্ম যার যার, উৎসব ও তার তার

    SHARE

    তবে দেশ ভেদে যে কোনো ধর্মের মানুষ সংখ্যায় কম বেশি থাকতে পারে। এই দেশ মুসলমানদের একার নয়, এই দেশ সব ধর্মের, সব জাতের মানুষের।

    “যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে দেবদেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালি দিও না”।-আল কুরআন।

    যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। তাতে বাধা দেওয়া, মূর্তি ভাংচুর করতে ইসলাম ধর্মের কোথাও বলা হয় নাই। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, যেখানে অন্য ধর্মের দেব-দেবীকে গালি দেওয়াও ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। সেখানে ধর্মের নাম ব্যবহার করে অন্যায় কাজে লিপ্ত হওয়া ইসলাম ধর্ম কখনোই সাপোর্ট করে না। যারা নামাজ-রোজার করা থেকে বিরত থাকে, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান নাই, তারা বিধর্মী নিপীড়ন করে মুসলমানিত্ব প্রমান করতে চায়। ইসলামের নামে, আল্লাহ-রাসুলের নামে নিজের বানাতুল হাদিস তারা ব্যবহার করে। আর কিছু অন্ধ আমজনতা বানাতুল হাদীস শুনে অন্য ধর্মের মানুষের উপর হায়নার মতো ঝাপিয়ে পরে। এই তথাকথিত মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন ও পবিত্র হাদিসের কিছু বাণী উল্লেখ করা যেতে পারে-

    ধর্মের ব্যাপারে জোরজবরদস্তি করতে নেই।
    -আল কুরআন।

    তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য, আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য। -আল কুরআন

    ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। এই বিষয়ে সীমা লঙ্ঘনের কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
    – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), বিদায় হজ্ব।
    .
    সাবধান! যে ব্যক্তি অমুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর নিষ্ঠুর ও কঠোর বা তাদের অধিকার ক্ষুন্ন করে বা তাদের উপর সহ্যের অধিক বোঝা চাপিয়ে দেয় বা তাদের স্বাধীন ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু ছিনিয়ে নেয়, আমি শেষ বিচারের দিন সেই মুসলিম নামধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দাঁড়াব। – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

    অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারীর জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দেবেন। জান্নাততো দূরের কথা, জান্নাতের সুঘ্রাণও সে পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

    যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের পর কোনো মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভেঙে ফেলো না। – আল হাদিস

    একজনের অপরাধে অন্যকে দণ্ডদেয়া যাবে না। পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে এবং পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না। – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), বিদায় হজ্ব।

    আমাদের দেশে তথাকথিত মুসলমানেরা মন্দির ভাঙ্গবে, আর ভারতের মুসলমানেরা তার খেসারত দিবে। আর ভারতের হিন্দুরা তাদের দেশের মুসলমানদের উপর হায়নার মতো ঝাপিয়ে পরবে, যার বলি হবে বাংলাদেশের হিন্দুরা। একজনের অপকর্মের ফল অন্যজন ভোগ করে যা খুবই নিন্দিত।

    অতএব আসুন, আমরা বানাতুল হাদীস ও ফন্দিবাজদের স্বআবিষ্কৃত ইসলাম বাদ দিয়ে আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) নির্দেশিত প্রকৃত ইসলামকে অনুসরন করি। ধর্মীয় সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।

    লেখক: ইমারত হোসেন ইমু