করোনায় বাংলাদেশে ৩৪৮ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে: আইএলও

SHARE

করোনার কারণে আর্থিক ক্ষতিতে পড়া বাংলাদেশের ৩৪৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।

আর ৪৩ শতাংশ কারখানা অর্ধেক সক্ষমতা নিয়ে উৎপাদনে টিকে আছে। আর মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কারখানা সব শ্রমিক এখনও ধরে রাখতে পেরেছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) জেনেভায় আইএলও সদর থেকে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

আইএলও জানায়, রপ্তানি আদেশ বাতিল, দেরিতে মূল্য পরিশোধ, সময়মত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারায় পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া অঞ্চলের তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী ১০টি দেশকে এই জরিপের আওতায় আনা হয়। তালিকায় রয়েছে: চীন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।

বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, ৬০ শতাংশ কারখানায় তিন সপ্তাহের মত উৎপাদন বন্ধ ছিলো। ৪০ শতাংশ কারখানায় ২৬ থেকে ৩৫ কর্মদিবস উৎপাদন বন্ধ ছিলো। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার তুলনা করে বলা হয়, করোনা প্রাদুর্ভাবে ইন্দোনেশিয়ায় একদিনের জন্যও কারখানা বন্ধ করা হয়নি, যদিও করোনার শুরুতে বাংলাদেশে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিলো।