৮ নভেম্বর বসছে সংসদের দশম অধিবেশন

SHARE

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন আগামী ৮ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। করোনাকালের অধিবেশনগুলোর মতো এবারও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অধিবেশন চলবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এটি হতে পারে বিশেষ অধিবেশন। সংসদের একাধিক সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর সংসদের নবম অধিবেশন শেষ হয়। ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সংক্ষিপ্ত এ অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল পাঁচটি। এতে আইন পাস হয়েছে ছয়টি।

সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশনের শেষ ও আরেক অধিবেশনের শুরুর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বেশি বিরতি দেয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে চলতি বছর মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সপ্তম, অষ্টম ও নবম অধিবেশন শেষ হয়। এবারের অধিবেশনেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি মাথায় রেখেই আয়োজন চলছে। আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারও অপেক্ষাকৃত তরুণ ও সুস্থ এমপিদের সংসদে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আবারও সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ। এর আগে প্রস্তুতি শেষ করেও করোনার কারণে তা হয়নি।

জানা যায়, ভেস্তে যাওয়া আগের অধিবেশনের প্রস্তুতির মতো এবারও বিদেশি অতিথিদের এ বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সব কিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করা হয়। ২২ ও ২৩ মার্চ এ অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।

গত ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২(১) ধারা অনুযায়ী দুদিনের এই বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছিলেন। দুদিনের বিশেষ অধিবেশনে ভারতের (প্রয়াত) সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির ভাষণ দেয়ার কথা ছিল।