রাকেশ রোশনের ওপর গুলি চালানো সেই শার্পশ্যুটার আটক

SHARE

অবশেষে গ্রেফতার করা হলো কুখ্যাত অপরাধী সুনীল গায়কোয়াড়কে। ২০ বছর আগে, ২০০০ সালে মুম্বাইতে পরিচালক রাকেশ রোশনের ওপর গুলি চালিয়েছিল এই শার্পশ্যুটার। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামী কিছুদিন আগেই প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল। কিন্তু জুলাইতে প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ফিরে আসার বদলে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল সুনীল। অবশেষে তিন মাস অনুসন্ধানের পর গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের কালওয়া -র পারসিক সার্কেল এলাকা থেকে মুম্বই পুলিশের জালে ফের ধরা পরে গায়কোয়াড়।

পিটিআই র তরফে জানা গেছে, গোপন সূত্রে সুনীলের পারসিক সার্কেলে আসার খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। সেই মতো ছক কষে অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলে এগোন অফিসাররা। সেন্ট্রাল ক্রাইম ইউনিটের সিনিয়র অফিসার অনিল হনরাও জানিয়েছেন সুনীলের মাথার ওপর ১১টি খুন এবং প্রায় সাতটি খুনের চেষ্টার মামলা ঝুলে রয়েছে। এরই একটি হল ২০০০ সালে সংঘটিত বলি অভিনেতা ঋত্বিক রোশনের বাবা রাকেশকে হত্যার চেষ্টার মামলা।

গত ২৬ জুন আঠাশ দিনের প্যারোলে জেলের বাইরে এসেছিল বর্তমানে নাসিক জেলের আসামী সুনীল। কিন্তু মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও জেলে না ফিরে উল্টে গা ঢাকা দেয় সে। জানা গিয়েছে ৫২ বছরের এই কুখ্যাত সমাজবিরোধী আলি বুদেশ এবং সুভাষ সিং ঠাকুর -র গ্যাং-এর সাথে যুক্ত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে এই অপরাধীর বিরুদ্ধে,যেখানে পালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিলো সুনীল ।

প্রসঙ্গত, পুত্র হৃত্বিকের ডেবিউ ছবি কহনা পেয়ার হ্যায়র সাফল্যের পরেই সেই বছর জানুয়ারিতে নিজের সান্তা ক্রুজের অফিসের সামনেই গুলিবিদ্ধ হন পরিচালক রাকেশ রোশন। অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ছয় রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল , যার দুটি বুলেট গায়ে লাগে পরিচালকের। তার গাড়ির চালকের তৎপরতায় তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে গিয়ে নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জানা যায় একটি বুলেট পরিচালকের হার্টের মাত্র কয়েক মিলিমিটার দূরত্বে বেরিয়ে গিয়েছিল।ভাগ্যের জোরে প্রাণে বাঁচেন পরিচালক।