যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু ২ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে

SHARE

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনোভাবেই থামছে না প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। যেখানে গত একদিনেও সাড়ে ৭ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ হার। যার ভুক্তভোগী ৭৬ লাখ আমেরিকান। তবে কিছুটা বেড়েছে সুস্থতা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৮ হাজার ৯২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭৬ লাখ ৮৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৫৫ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৭৭ জনে ঠেকেছে।

অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ৪১ হাজার ৬৮৫ জন রোগী। এতে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০৯ জনে পৌঁছেছে।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।

সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৮ লাখ ২৯ হাজার ৭৪৪ জন মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ১১৯ জনের। সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ২ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৪৮০ জনের।

ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৭ লাখ ১৪ হাজার ৫৯১ জন মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১৪ হাজার ৬৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ ৯৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ২৯০ জন ভুক্তভোগী।

জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৭ হাজার ১৩৪ জনের। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৩ লাখ ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ হাজার ২৩ জন।

অ্যারিজোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ২০ হাজার ৩৯৯ জন মানুষ। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৭০৫ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ২৫৪ জনের।

এ ছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।