‘কোন চাপেই সৌদিতে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট নয়’

SHARE

কোন চাপের মুখেই সৌদি আরবে থাকা ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়া উচিত হবে না বলে মনে করেন অভিবাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সৌদি হুমকি রাজনৈতিক চাপ বলে মনে করেন তারা। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরব এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি- তাই উদ্বিগ্ন হবারও কিছু নেই।

আশির দশকে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে তখনকার সৌদি বাদশা কিছু রোহিঙ্গাকে সেদেশে নিয়ে যান। সৌদি আরব বলছে, এই সংখ্যা ৫৪ হাজার। যেহেতু এরা বাংলাদেশ থেকে গেছে তাই তাদের পাসপোর্ট দিতে এখন চাপ দিচ্ছে দেশটি।

আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিশ্লেষক এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদের কারো কারো কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে। এর পেছনে কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং রিক্রুটিং এজেন্টের হাত রয়েছে। তবে সৌদি সরকারের কোন চাপের কাছেই নতি স্বীকার করে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেয়া উচিত হবে না।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমারের সাথে আমাদের যা চলছে এ সময় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেয়া খুবই ক্ষতিকর হবে। এ বিষয়টি আমাদের সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা করে কূটনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। আমি মনে করি তাদের কোনভাবেই পাসপোর্ট দেয়া ঠিক হবে না।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শরিফুল হাসান বলেন, কিভাবে রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের আরও নজরদারি দেয়া দরকার।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেয়া না হলে ২২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন কোন কথা সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে বলেনি। সৌদি আরব বিষয়টি যেন মিয়ানমারকে জানায় সে প্রস্তাব দেশটিকে দেয়া আছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবকে জানিয়েছি কোনো রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্ট থেকে থাকলেই আমরা সেটা পুনরায় ইস্যু করতে পারি, অন্যথায় নয়। তবে সৌদি আরব জানিয়েছে, পাসপোর্ট ইস্যু না করা মানেই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নয়।

ড. মোমেন বলেন, সৌদি আরবের জেলে ৪৬২ জন রোহিঙ্গা আছেন। আমরা মিশন থেকে যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, তাদের মধ্যে ৭০- ৮০ জনের বাংলাদেশের পাসপোর্ট আছে। তাই কেবল এই পাসপোর্টধারীদেরই ফেরত আনা যেতে পারে।