নেতাদের বাকযুদ্ধ এখন রাজনীতির প্রধান অস্ত্র

SHARE

khaledaবিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকারকে সময়মতো জবাব দেয়ার কথা বলেছেন৷ তিনি সবাইকে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন৷ আর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন খালেদা জিয়া না শোধরালে তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে৷

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মাঠের রাজনীতি আর মাঠে নেই, আছে হুমকি আর পাল্টা হুমকিতে৷

শনিবার ঢাকায় শ্রমিক দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘সরকারকে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ বেশি দেরি করলে, জুলুম-নির্যাতন বাড়ালে এর পরিণতির দায় সরকারকেই নিতে হবে৷ সময়মতো আন্দোলন ও সরকারের অত্যাচারের জবাব দেওয়া হবে৷” নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘আসুন সময় হয়েছে, জুলুম-অত্যাচারে চোখের পানি ফেলে নয়, নির্যাতনের জবাব দিতে হবে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ করে৷ সে প্রস্তুতি নিন৷”

সময়মতো আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘যারা যাই মনে করুক, যখন মনে করব আন্দোলনের সময় হয়েছে, আমরা প্রস্তুত, তখন আন্দোলন করব৷ কারও কথায় আমরা চলি না৷”

এদিকে, বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘‘খালেদা জিয়া এখনো শোধরাননি৷ বৈধ সরকারকে অবৈধ বলছেন৷ জঙ্গিবাদীদের সঙ্গও ত্যাগ করেননি৷ আপনি যদি এই পথ পরিহার না করেন তাহলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন৷”

হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেন, পাকিস্তানিরা একবার বাঙালিদের পাকিস্তানি বানানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে৷ আবার ‘৭৫ সালের পর জেনারেল জিয়াসহ অন্য সামরিক শাসক, এবং সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের নাম পাল্টানোর চেষ্টা করছেন, ইতিহাস পাল্টানোর চেষ্টা করছেন৷

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনি আস্তাকুঁড়ে বসে ইতিহাস নিয়ে যত ঘাঁটাঘাঁটি করবেন, তত দুর্গন্ধ ছড়াবে৷”

এদিকে,এই হুমকি পাল্টা হুমকি নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাজনীতি এখন মাঠের কাজের চেয়ে কথার ফুলঝুড়িতে পরিণত হয়েছে৷ কাজের চেয়ে এখন কথার গর্জন বেশি৷ ফলে শিষ্টাচারও বিদায় নিচ্ছে৷”

তিনি বলেন, ‘‘সরকারবিরোধী দলগুলোর হাতে এখন কার্যকর কোনো কর্মসূচি নেই৷ তাদের অতীতের কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি৷ আবার সরকারও সরকার বিরোধীদের স্পেস দিচ্ছে না৷ তাই মাঠের রাজনীতি এখন মঞ্চ, বিবৃতি আর টকশোতে ঠাঁই পেয়েছে৷”