ওবামা-রোমান্সে কটাক্ষ চীনের

SHARE

modi obama25ওবামা-মোদির ‘রোমান্স’ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই৷ দাবি করল চীন৷ চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস বুধবার দাবি করেছে, মোদি-ওবামার সম্পর্ককে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ কারণ, এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বাস্তবিক কোনো উন্নতির লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি৷

রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরের সময় অনেক প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যাশার কথা শোনা যায়৷ কিন্ত্ত সফর শেষে তার বেশির ভাগই উবে যায়৷ ওবামার এ বারের সফরও তার ব্যতিক্রম হবে না৷ ভারত-মার্কিন সহযোগিতার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বহু বাধা রয়েছে৷ মোদি-ওবামার সখ্য সেই বাধা দূর করার জন্য যথেষ্ট নয়৷

ভারত-মার্কিন সম্পর্কে উন্নতিকে খাটো করতে এই সংবাদপত্রে আরও লেখা হয়েছে, আমেরিকা ভারতের প্রতি যতই সৌহার্দ্যের মনোভাব দেখাক, বা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা দ্বিতীয় বার ভারতে অতিথি হোন না কেন, তৃতীয় বিশ্বের প্রতিনিধি হিসেবে নয়াদিল্লিকে ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বাইরেই রাখবে ওয়াশিংটন৷

জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের সঙ্গে আমেরিকার যা সম্পর্ক, মর্যাদায় ভারত কখনওই তার সমকক্ষ হতে পারবে না৷ সিপিসি-র দাবি, ‘ওয়াশিংটন সব সময় ভারতের মতো কৌশলগত ক্ষেত্রে সঙ্গী দেশ এবং জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বহু দিনের বন্ধু দেশের মধ্যে একটা সীমারেখা বজায় রাখে৷’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফর নিয়ে বেজিং যে খুশি নয়, গত কয়েক দিনে তা বারবারই সামনে এসেছে৷ নিজের কার্যকালে দ্বিতীয় বার ওবামার ভারতে আসার আসল উদ্দেশ্য চীনকে কূটনৈতিক বার্তা দেওয়া, এ কথা গ্লোবাল টাইমস-এ খোলাখুলিই লেখা হয়েছে৷ ঠারেঠোরে একই ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকাও৷ কিন্ত্ত দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চীন যে মরিয়া তা বুঝিয়ে দিয়েছে তারাও৷

বিভিন্ন এশীয় শক্তির সঙ্গে আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক কোন পথে এগোচ্ছে, আপাতত সে দিকে সতর্ক নজর রেখে চলছে বেজিং৷ তীক্ষ্ণ ভাবে জরিপ করা হচ্ছে নয়াদিল্লির সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপও৷ ওবামা ফিরে যাওয়ার পর তাই এই সফরের গুরুত্বকে নস্যাত্ করাকেই কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করল চীন৷