আইসিএক্স লাইসেন্সধারীদের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১৮৯ কোটি টাকা

SHARE

brtc-icxনিয়মিত অর্থ পরিশোধ না করায় ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিটিআরসির পাওনা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে, এমন আইসিএক্সের সংখ্যা ২০। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাজস্ব আয়ের ভাগাভাগির অংশ হিসেবে বিটিআরসির পাওনার পরিমাণ ১৮৯ কোটি ৪৬ কোটি টাকা। এছাড়া গত বছরের লাইসেন্স ফি বাবদ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া রয়েছে ২৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর লাইসেন্স ফির ওপর প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর বাবদ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আরো ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বিটিআরসির।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ২৬ ধারা অনুযায়ী বকেয়া আদায়, ৪৬ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল, ৬৩ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন আদেশ ইস্যু ও ৬৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বিটিআরসির।
গত বছরের ডিসেম্বরে আইসিএক্স লাইসেন্সিং নীতিমালা সংশোধন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নীতিমালার ১৬ দশমিক ২ ও লাইসেন্সের ৮ দশমিক ১ ধারায় সংশোধন করে লাইসেন্স ফি কমিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক লাইসেন্স ফি ছিল আড়াই কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে ২০১২ সালেই লাইসেন্স পেয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠান। আইসিএক্স লাইসেন্সধারী নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— প্যারাডাইস টেলিকম, টেলিপ্লাস নিউইয়র্ক, ব্যানটেল, ক্লাউডটেল, বাংলা আইসিএক্স, ভয়েসটেল, ইমাম নেটওয়ার্ক, ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস, মাদার টেলিকমিউনিকেশন্স, অগ্নি সিস্টেমস, নিউ জেনারেশন টেলিকম, সফটেক্স কমিউনিকেশন, ক্রস ওয়ার্ল্ড টেলিকম, জীবনধারা সলিউশন্স, রিংটেক (বাংলাদেশ), পার্পল টেলিকম, গাজী নেটওয়ার্কস, মাইক্রোট্রেড, টেলি এক্সচেঞ্জ, এমএম কমিউনিকেশন্স, এসআর টেলিকম, বাংলা টেলিকম ও ভার্টেক্স কমিউনিকেশন্স।

সূত্র: দৈনিক বণিক বার্তা