কলকাতায় অতি গোপনে বিসিজি টিকার ‘করোনা টেস্ট’

SHARE

আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন বাজারে ছাড়া হতে পারে দেশটিতে তৈরি প্রথম করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আসছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। প্রতিষ্ঠানটি আবার করোনার টিকা হিসেবে কলকাতা শহরে শুরু করছে বিসিজি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।

শুক্রবার প্রথম দিনেই ৪০ জন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কভিড পরীক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর তাদের শরীরে দেওয়া হলো ব্যাসিলাস কালমেট গুইরিন (বিসিজি) ভ্যাকসিন। এই ট্রায়াল যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য যথেষ্ট সাবধানতা নেওয়া হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন নেবেন, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। এমনই কঠোর নিয়ম মেনে চলছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের শাখা সংস্থা নাইসেড যে ব্যক্তির নাম পাঠাচ্ছে, তাদের শারীরিক পরীক্ষার পর বিসিজি প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। নাইসেড জানিয়েছে, প্রথম দিনেই ৪৫ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয়, ’ডবল লাইন কন্ট্রোল ট্রায়াল’।

মূলত কভিড ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ -এর বিশেষজ্ঞদের অভিমত, করোনা ভাইরাসকে কাবু করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বিসিজি।

ভ্যাকসিন দেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্মার্ট ফোনে একটি অ্যাপ যুক্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের সঙ্গে এই অ্যাপ থেকে যোগাযোগ করা হবে। করোনায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের ওপর এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হয়, তার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের পর এটি প্রয়োগ করা হবে এই প্রতিষেধক বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ।

সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন।