টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবি

SHARE

tangail m29নবঘোষিত ময়মনসিংহ বিভাগে নয়, টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবি জানিয়েছেন টাঙ্গাইলবাসী।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

টাঙ্গাইলবাসী ঢাকার সাথেই থাকতে চায়’ শীর্ষক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ টাঙ্গাইল জেলার শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে টাঙ্গাইল জেলার প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময় তারা ‘আর কোনো চাওয়া নাই, টাঙ্গাইলকে ঢাকায় চাই’, ‘টাঙ্গাইলকে ঢাকা থেকে পৃথক করা চলবে না’, ‘রাজধানীর সীমানা, টাঙ্গাইলের ঠিকানা’ ও ‘যাব না যাব না, ঢাকা ছেড়ে যাব না’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ডসহ অবস্থান নেয়।

এ আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মেহেরুল হাসান সোহেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহকে বিভাগ করার ঘোষণা করে ময়মনসিংহবাসীর দাবি মেনে নিয়েছে। এজন্য আমারা তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সেই সঙ্গে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা ঐতিহাসিকভাবে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত। তাই আমরা টাঙ্গাইলবাসী ময়মনসিংহেই থাকতে চাই।”

তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলবাসীর লেখাপড়া থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের কাজই ঢাকামুখী। কিন্তু ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভূক্ত করা হলে আমার বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।”

তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগের সঙ্গেই রাখার জন্য জোর দাবি জানান তিনি।

এ দাবি মানা না হলে আগামী বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আবারও মানবন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন মেহেরুল হাসান সোহেল।

ঢাবি শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসাইন সাগর বলেন, ‘ভৌগলিকভাবে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ অঞ্চলে দৃশ্যমান হলেও প্রশাসনিক ও প্রকৃতভাবে টাঙ্গাইলের নিজস্ব একটি স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। সব বিষয় বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব, ময়মনসিংহবাসীর আবেগের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। আপনি তাদের সম্মানিত করেছেন। এবার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে আমাদের জেলার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সহযোগিতা করুন।”

এ সময় আরও বক্তব্য দেন কবি জসীম উদদীন হলের ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান রনি, ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্রনেতা মাহমুদুল হাসান, মশিউর রহমান শরীফ, নাজমুল হাসান, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী নেত্রী শেখ মারুফা নাবিলা ও জগন্নাথ বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্রনেতা হিমেলুর রহমান হিমেল প্রমুখ।