সংসদে বাজেট উপস্থাপন শুরু

SHARE

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে এ বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাজেট অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে জতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। এর পর আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদের বাজেট অধিবেশন হচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ব্যবস্থা। অধিবেশনে সংষদ সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও গ্লাভস পরে অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। অধিবেশন কক্ষে কর্মরত কর্মচারীরাও মাস্ক, গ্লাভস ও মাথা ঢেকে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্পিকারের আসনের নিচে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের সংখ্যাও কমানো হয়েছে।
অধিবেশন কক্ষের ভেতরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির ব্যাপারে হুইপরা একটি তালিকা করেছেন। সংসদ সদস্যরা গড়ে তিনদিনের মতো বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। কোনও কোনও সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে দুই দিনেরও আছে আবার কারও কারও তিন দিনের বেশি আছে। অধিবেশনের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে এটা করা হয়েছে।
এছাড়া অধিবেশনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত অন্যদের উপস্থিত না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সচরাচর বাজেট পেশের দিন সংসদে প্রায় সকল সংসদ সদস্যই উপস্থিত থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে উপস্থিতি সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। অন্য সময় বাজেট পেশের দিন সংসদ সদস্যের বাইরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে সংসদ ভবন সরব থাকলেও এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। অন্য বছরগুলোতে সরাসরি বাজেট অধিবেশন প্রত্যক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগন, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক মিশন সমূহের প্রতিনিধি, দেশের অর্থনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিগণ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সম্পাদকসহ সিনিয়র সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সংসদের গ্যালারিগুলো রয়েছে এবার একেবারেই ফাঁকা। এমন কি যেসব সংসদ সদস্যরা বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত সহকারীদেরও সংসদ ভবনে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়নি।
সংসদে সরাসরি প্রবেশ করে গণমাধ্যমকর্মীদেরও সুযোগ দেয়া হয়নি সংবাদ সংগ্রহের। আগে থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদে প্রবেশ না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচারিত লাইভ অনুষ্ঠান থেকে সংবাদ সংগ্রহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্য বছরগুলোতে সংসদ ভবনের গণসংযোগ শাখা থেকে সাংবাদিকদের বাজেট ডকুমেন্ট বিতরণ করা হলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে এবার তা করা হয়নি। সংসদ ভবনের বাইরে অবস্থিত মিডিয়া সেন্টার থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বাজেট ডকুমেন্ট বিতরণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি গণমাধ্যম থেকে মাত্র একজন প্রতিনিধিকে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।