‘সরকারের সমালোচনার নামে বিএনপি রাজনৈতিক হীন কৌশল অবলম্বন করেছে’

SHARE

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদো বলেছেন, সরকারের সমালোচনার নামে বিএনপি রাজনৈতিক হীন কৌশল অবলম্বন করেছে। কোনো ঘটনার প্রকৃত সত্য তুলে না ধরে তা টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা হিসাবে প্রচার করাও অপরাধ। সত্যতা যাচাই না করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।আজ রবিবার (১০ মে) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ও গণসমাজে বিভ্রান্তি তৈরির অপকৌশল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণের কাজে অস্বচ্ছ কিছু হলে প্রকৃত সত্য যে কেউ তুলে ধরতে পারে। কিন্তু সেটিকে টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করাটা নিশ্চয়ই অপরাধের শামিল। যেকোন পদক্ষেপের সাথে যে কারোর একমত বা দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ রয়েছে।’তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে সত্যতা যাচাই না করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারী তথা দুর্যোগের এই সময় প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। এ কথা আমরা বারবার বলেছি। আমরা একথাও বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকবে। যারা অপপ্রয়োগ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সরকার ও দলের ত্রাণ তৎপরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ পর্যন্ত দেশে চার কোটি মানুষের মাঝে নগদ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দলীয়ভাবে সারাদেশে নেতাকর্মীরা প্রায় এক কোটি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা ও নগদ সহায়তা প্রদান করেছে।ত্রাণ চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ৬১ হাজার ৫৬৯ জন। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। যে কজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধী দলীয় লোক হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।করোনার কারণে প্রবাসী বাঙালিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিশ্বে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাঙালি রয়েছে। এদের অধিকাংশই কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দোকানপাট তথা বাণিজ্যকেন্দ্র সীমিত পর্যায়ে খোলার অনুমতি দিয়েছে। ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে আমি স্বাস্থ্যবিধিসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।