অবশেষে ভাসানচরে প্রবেশ ঘটল রোহিঙ্গাদের

SHARE

প্রথমবারের মতো একদল রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধারের পর নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এখবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন শনিবার রাত ২টা ৩৫ মিনিটে রোহিঙ্গাদের ওই দলটি ভাসানচরে পৌঁছায়।
এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুত রাখা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঘটল।
এদিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের একটি ছোট দলকে শনিবার ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও।
তবে ঠিক কতজন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে সংখ্যা জানাতে পারেননি। কক্সবাজারের একটি সূত্র বলছে, প্রায় ৭০ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে গেছে কোস্টগার্ড।
রোববার (৩ মে) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে বেশ কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে কোস্টগার্ড তাদের আটক করে প্রথমবারের মতো ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এটাই রোহিঙ্গাদের প্রথম কোনো দল, যাদের ভাসানচরে পাঠানো হলো। এদের খাদ্যসহ সবধরনের ব্যবস্থা আপাতত দেয়া হবে।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই দুটি নৌকা ছিল। শুনেছিলাম একেকটিতে ২৫০-৫০০ জন করে রোহিঙ্গা। তখন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে এসব রোহিঙ্গাদের নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আমরা নেব না জানিয়ে জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী এই কোস্টাল অঞ্চলের দেশগুলোকেও দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানাই। এরপর হঠাৎ করে আমরা জানলাম, ভাসতে থাকা নৌকা দুটি যা কখনোই আমাদের সীমানায় ছিল না, তারা কোথায় গেছে কেউ জানে না। পরবর্তীতে জানা গেল, তারা মিয়ানমারের সীমান্তে চলে গেছে। এরপর দেখা গেল দালালদের মাধ্যমে ডিঙি নৌকায় করে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
এভাবে নতুন কৌশলে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে মনে করেন ড. মোমেন।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও খাবার দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে , ভাসানচরে বেড়িবাধ নির্মাণ, ঘরবাড়ি, সাইক্লোন শেল্টারসহ অবকাঠামো উন্নয়নের করা হয়।
তবে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে অসম্মতি জানায়।

জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকেও বলা হয়, ভাসানচরে স্থানান্তরের আগে কারিগরি মূল্যায়ন শেষে রোহিঙ্গাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ফলে সরকারের জোর চেষ্টা ও কয়েকদফা উদ্যোগ সত্বেও সেখানে একজন রোহিঙ্গাও পাঠানো সম্ভব হয়নি।