এআইআইবির কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

SHARE

আগামী দুই অর্থবছরের জন্য এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ অর্থ কৃষি খাতের অটোমেশন, কৃষিজাত দ্রব্যের প্রক্রিয়াকরণ, ফল ও শাকসবজি প্রক্রিয়াকরণ, কোল্ড স্টোরেজ, চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতের পুনর্বাসনের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার অনুরোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী এআইআইবি প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে টেলিকনফারেন্সে আলাপচারিতায় এসব সহায়তা চান। টেলিকনফারেন্সে আরো যুক্ত হন এআইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ডি জে পানডিয়ান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রভাবে আমাদের আমদানি-রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বেশির ভাগ দেশে প্রবাসী ভাই-বোনরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থবিরতা নেমে এসেছে রেমিট্যান্স প্রবাহে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের ওপর করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার জন্য আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে এআইআইবি থেকে উন্নত প্রকল্প সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট দেওয়ার অনুরোধ করেছি, যা কৃষি খাতের অটোমেশন, কৃষিজাত দ্রব্যের প্রক্রিয়াকরণ, ফল ও শাকসবজি প্রক্রিয়াকরণ, কোল্ড স্টোরেজ, চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন, এবং মাছ চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতের পুনর্বাসনের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার অনুরোধ করেন।

এআইআইবি প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি নিঃসন্দেহে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিনই পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। যদি মহামারি মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনীতি নিয়ে এখন থেকেই না ভাবা হয়, তাহলে ২০২১ সালেও অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হবে না। সদস্য দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে এআইআইবির চলমান প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেগুলো দ্রুত সফলভাবে শেষ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন। অর্থমন্ত্রী ও এআইআইবি প্রেসিডেন্টের মধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়। এআইআইবি প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করে ধন্যবাদ দেন।

এআইআইবি প্রেসিডেন্ট অর্থমন্ত্রীর উল্লিখিত খাতগুলোতে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। প্রেসিডেন্ট আরো অবহিত করেন, ফান্ডিং মডালিটিতে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।