ছাত্রলীগ নেতাকে কক্ষে আটকে পেটানোর অভিযোগ

SHARE

আবাসিক হলে সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে মতোবিরোধের জেরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে গতকাল রবিবার রাতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটনের কক্ষে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী দস্তগীর এখন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগী দস্তগীর কালের কণ্ঠকে জানান, রবিবার রাতে কুমিল্লা আঞ্চলিক গ্রুপের মিটিং ডাকা হয়। এতে সভাপতি গ্রুপের রাজনীতি না করার জন্য আমার ওপর চাপ করা হয়। রাজি না হওয়ায় রাত আড়াইটায় আমাকে টুটনের রুমে ডেকে নিয়ে ফজরের আগ পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় কাঠ দিয়ে মারধর মারা হয় আমাকে। সে সময় ঐ কক্ষে প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিল বলে জানান দস্তগীর।

তিনি আরো বলেন, ১৬ ব্যাচের উজ্জ্বল আমাকে প্রথমে পেটে লাত্থি মারে। এরপর ১৭ ব্যাচের তাশরীফ, শেকৃবি ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক মামুন হোসাইন ও সাকিব এবং ১৮ ব্যাচের রাকিব আমাকে কাঠ দিয়ে মারধর করে মুখ, হাত ও পেটে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় আমি সোমবার ভোরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, এটা তার সাজানো নাটক। অভিযুক্ত শেকৃবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন কালের কণ্ঠকে বলেন, রাতে আমাদের (কুমিল্লা আঞ্চলিক গ্রুপ) অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে মোস্ট জুনিয়র থেকে শুরু করে মোস্ট সিনিয়র সবাই উপস্থিত ছিল। সেখানে মারধরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সকালে সে (দস্তগীর) অসুস্থ শুনে আমি তাকে হাসপাতালে দেখতে যাই।

মিটিংয়ে উপস্থিত বেশ কয়েকজন কালের কণ্ঠকে বলেন, মারামারি হয়নি। তবে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ মিথ্যা।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সোনিয়া ইসলাম সোমবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ভর্তিকৃত দস্তগীরের মুখসহ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

শেকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঘটনাটি দুপুরে শুনেছি। এটা তাদের বঙ্গীয় ব্যাপার। আমাদের কিছু করার নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. রুহল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত ও দস্তগীরকে দেখতে গিয়েছিলাম। মিটিংয়ে উপস্থিত অনেকেই জানায় মারামারি না হাতাহাতি হয়েছিল। এ ব্যাপারে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।