শিশু সায়মা হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি ৫ মার্চ

SHARE

রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় করা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন আগামী ৫ মার্চ ধার্য করা হয়েছে। আজ রবিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আবদুল হান্নান এ তারিখ ধার্য করেন।

আজ এই মামলায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আসামি। যদিও আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সায়মা হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

এ ঘটনায় গত ২ জানুয়ারি একমাত্র আসামি হারুণ অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর হারুনকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়। চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মো. আরজুন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর ওয়ারীর একটি বাড়ির নয় তলায় শিশু সায়মার লাশ পাওয়া যায়। ওই বাড়ির ৬ষ্ঠ তলায় সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকত। লাশ পাওয়ার আগে সে তার মাকে ওপরের তলায় খেলতে যাচ্ছিল বলে জানায়। কিন্তু সে ফিরে না আসায় তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে নবম তলায় তার গলায় রশি পেচানো অবস্থায় সায়মার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় সায়মার বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন।

এরপর পুলিশ গত বছরের ৭ জুলাই কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন হারুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সায়মাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, এক মাস আগে থেকে তার খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় ছিলেন। ওয়ারীতে যে ভবনে ঘটনা ঘটে ওই ভবনের সাত তলায় পারভেজ থাকেন। ঘটনার আগে ভবনের লিফট দিয়ে নামার সময় সায়মার সঙ্গে তার দেখা হয়। লিফটইে সে সায়মার সঙ্গে খারাপ কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ছাদে দেখার কথা বলে সে সায়মাকে ছাঁদে নিয়ে যায়। ছাঁদে নিয়ে সায়মাকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সায়মা চিৎকার করতে থাকে। মুখ চেপে ধরে সায়মাকে সে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের এক পর্যায়ে সায়মা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন হারুন ভয় পায়। সায়মার জ্ঞান ফিরলে সে মানুষের কাছে ঘটনা বলে দেবে। এ কারণে যাতে ঘটনা প্রকাশ না পায় সেজন্য তার গলায় দড়ি পেচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে সায়মাকে টেনে নিয়ে রান্না ঘরের সিলিংকের নীচে ফেলা হয়। এরপর তিনি(হারুন) পালিয়ে যায়।