এসডিজি বাস্তবায়নে আশাবাদ গুড নেইবারস সম্মেলনে

SHARE

সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে নির্ধারিত সময়ের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি শামসুল হক টুকু। তিনি এই অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে সমমনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মঙ্গলবার সকালে শিশু অধিকার ইস্যুতে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘গুড নেইবারস’ বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, ডব্লিউএফপি’র সিনিয়র ম্যানেজার সিদ্দিকুল ইসলাম খান, ওয়াল্ড ভিশনের পরিচালক চন্দন জেড গোমেজ, জিবিএন স্টিয়ারিং কমিটির মিনতি রানী রায়, শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ প্রমুখ।
সম্মেলনে শিশুদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে শামসুল হক টুকু বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এক্ষেত্রে শিশু অধিকারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ‘বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হবে। তবে এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেন, ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১১ জেলায় ১৭টি প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়নের প্রধান জাতীয় সমস্যা হচ্ছে- অপুষ্টি, শিশু শ্রম, শিশু বিবাহ, বয়সসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষা, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন। সমমনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নেটওয়ার্কিং ও পার্টনারশিপকে আরো শক্তিশালী করার মধ্যে দিয়ে সমস্যাগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গুড নেইবারসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানস্থলে তিনটি স্টলে হস্তশিল্পের নানা পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শন করা হয়। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।