একাদশে ১১ শতাংশের বেশি ভর্তির নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ

SHARE

ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ দুদকের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিট আবেদনে অতিরিক্ত ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অতিরিক্ত ভর্তির কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেছেন। একইসঙ্গে আবেদনে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী শতভাগ আসনের বাইরে অতিরিক্ত ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি না করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিট আবেদনে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এডহক কমিটির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে বিবাদি করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতবছর ২১ এপ্রিল ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৯ জারি করে। ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের শতভাগ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো আবেদনকারী থাকলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, ৩ শতাংশ বিভাগীয় এবং জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরসমূহ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী ও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তান, ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না।

এই নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, নিজ স্কুল থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা উর্ধ্বতন শ্রেণিতে ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে। এই আইন লঙ্ঘন করে ১১১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে।