শাহজালালে টার্মিনাল-৩ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

SHARE

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে টার্মিনাল-৩ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগেই বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানিয়েছেন, ৪৮ মাসের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। তিনি বলেছেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ সমাপ্তির পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর।

এছাড়া বিমানে সংযুক্ত নতুন দুটি ড্রিমলাইনার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন হলেও আইনি জটিলতাসহ নানা কারণে এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ আটকে যায়। অবশেষে শনিবার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত থার্ড টার্মিনাল নির্মাণকাজ উদ্বোধন হলো, যা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে। তিন তলাবিশিষ্ট এ টার্মিনাল ভবনের আয়তন হবে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার, লম্বা ৭০০ মিটার এবং চওড়ায় ২০০ মিটার। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং—এই তিনটি প্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্ব দরবারে খ্যাতি কুড়ানো স্থপতি রোহানি বাহারিন এর নকশা করেছেন।

এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। টার্মিনালটি এমন একটি ম্যাকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এর প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যাবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধনের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দুটি ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ উদ্বোধন করেছেন। তিনি একই সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মোবাইল অ্যাপও উদ্বোধন করেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে বিমানের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে যাত্রীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।