ভারতের দিনে রানের জোয়ার

SHARE

ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ১৫০ রান। ফিল্ডিংয়ে নেমেও ভালো বোলিং করতে পারেননি বোলাররা। ফলে ভারতের হাতে চলে যায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। খেলতে নেমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ওয়ানডে স্টাইলে তুলছেন রান। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। আউট হয়েছেন আড়াইশর কাছাকাছি গিয়ে।

সর্বশেষ ৬ উইকেট হারিয়ে চারশ ৯৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত। তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৪৩ রানে। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ নিয়েছেন চারটি উইকেট। বাকিদের বোলিং ফিগারের দশা করুণ। অথচ দিনের শুরুটায় ছিল লড়াইয়ের ইঙ্গিত। পুজারাকে ফিফটির পর ফিরিয়ে আবু জায়েদ শূন্য রানে ফেরান বিরাট কোহলিকে। ৯১ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। গতকাল শেষ সেশনে ৩২ রানে জীবন পেয়েছিলেন ভারতের এই উঠতি তারকা। আজ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ৮২ রানে আরেকবার জীবন পান তিনি। মেহেদী মিরাজের বলে তাকে এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। লাঞ্চের পরেই তিনি ১৮৩ বলে ১৫ চার ১ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ৮ ম্যাচ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। দ্রুতই তিনি বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ১৫০ একাই পেরিয়ে যান।

১৭২ বলে ৮৬ রান করে আজিঙ্কা রাহানে যখন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে, তখনই আঘাত হানেন আবু জায়েদ। রাহানেকে তাইজুলের তালুবন্দি করে নিজের চতুর্থ শিকার ধরেন তিনি। এরইসঙ্গে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৯০ রানের জুটি। ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা মায়াঙ্কের সঙ্গী হন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনে আগের মতোই এগিয়ে নিতে থাকেন ভারতকে। শেষ সেশনে ৩০৩ বলে ২৫ চার ৫ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। গত ২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাখাপত্তনমে তিনি ২১৫ রানের ইনিংস খেলেন। আজ তাকে ২৪২ রানে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। মায়াঙ্কের ক্যাচ নেন আবু জায়েদ। ভাঙে ১২৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। পরে শেষ বিকেলে আরেকটি উইকেট নিতে পারে বাংলাদেশ। নিজের ৩০তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পান ইবাদত হোসেন। বোল্ড করেন ঋদ্ধিমান সাহাকে।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিনে ১ উইকেটে ৮৬ রান তুলেছিল ভারত। দলীয় ১৪ রানে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা শিকার হন আবু জায়েদ রাহীর। ৬ রান করা রোহিত রাহীর বলে ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে।

এর আগে খেলতে নেমে ১৫০ রান করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন।